ভারতকে ‘মারাত্মক’ সামরিক ক্ষতির মধ্যে ফেলতে পারে চীন: গ্লোবাল টাইমস

প্রতিযোগিতা করতে চাইলে অতীতের তুলনায় ভারতকে আরও মারাত্মক সামরিক ক্ষতির মধ্যে ফেলতে সক্ষম চীন। মঙ্গলবার, দুই পারমাণবিক-শক্তিধর দেশের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।সোমবার, নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিম হিমালয়ের বিতর্কিত সীমান্তে চীনা সেনাদের পাহাড় দখলের চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।
একইদিনে, ভারতকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চীনের সামরিক মুখপাত্র। বেইজিং জানায়, দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত অবৈধভাবে অতিক্রম করছে ভারত।
গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘ভারত ... বলেছে যে তারা চীনা সামরিক তত্পরতাকে প্রভাবিত করছে।’
‘“প্রভাবিত” শব্দটিই প্রমাণ করে যে, ভারতীয় সেনারাই প্রথমে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছিল, এবং ভারতীয় সেনারাই অবস্থান নিতে শুরু করেছে।’
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারত “শক্তিশালী চীন” এর মুখোমুখি এবং নয়াদিল্লির এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সমর্থন পাওয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখা উচিত না।
‘তবে ভারত যদি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চায় সেক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে চীনের অনেক বেশি সরঞ্জাম ও ক্ষমতা রয়েছে। ভারত যদি কোনও সামরিক শোডাউন চায় তবে পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ১৯৬২ সালের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি করতে বাধ্য হবে।’
গ্লোবাল টাইমস চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল পত্রিকা পিপলস ডেইলি প্রকাশ করে থাকে।
রয়টার্স জানায়, লাদাখে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা চলছে।
জুনে, গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এটি ছিল দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে গত অর্ধ শতকেরও বেশি সময়কালের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক সংঘর্ষ।
উভয় পক্ষই এই সংঘর্ষের পরে শান্তি আলোচনার সমঝোতা করতে রাজি হয়েছিল। তবে এই সপ্তাহের শেষে চীনা বাহিনী ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
Comments