সরকার খালেদার অস্থায়ী মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করবে, আশা ফখরুলের

পরিবারের আবেদন বিবেচনা করে সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
mirza-fakhrul-islam-alamgir-1_2_0.jpg
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

পরিবারের আবেদন বিবেচনা করে সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। শাস্তি নয়, তিনি জামিনের দাবিদার।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং মিথ্যা হয়রানির মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে।’

বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং দরখাস্তে কী লেখা আছে তা বিবেচনা করে তার (খালেদা জিয়া) স্থায়ী মুক্তিতে পরিবারের পক্ষে জমা দেওয়া আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার।

গত ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে আবেদন জমা দেন যা পরে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

বয়স এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর তার অস্থায়ী মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

গুলশানের বাসভবনে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশ ছাড়া যাবে না এমন দুটি শর্তে সরকার তার মুক্তির কার্যনির্বাহী আদেশটি পাস করে। মুক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago