পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/sampadak_parishad_pid.jpg?itok=VAG4tSBn×tamp=1598974589)
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র বাবদ সরকারের কাছে পত্রিকাগুলোর পাওয়া পরিশোধের বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ে সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। সম্পাদকদের পক্ষ থেকে দ্রুত পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা এবং সরকারের কাছে পত্রিকাগুলোর পাওনা পরিশোধ করাসহ বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের অনুরোধ করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে নিয়মিতই বৈঠক হয়। আজকেও সে রকম একটি বৈঠক হয়েছে। আজকে বিশেষত আলোচনা হয়েছে পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধন যাতে শিগগির দেওয়া হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ও মনে করে যেসব পত্রিকা বের হয় বিশেষ করে প্রধান পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি তদন্তের প্রয়োজন নেই। কারণ ইতিমধ্যে তদন্ত করেই পত্রিকাগুলো বের হয়। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকার অনেক বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। সব মিলিয়ে কয়েক শ কোটি টাকার বিল আটকে আছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যাতে বিলগুলো তাড়াতাড়ি ছাড় করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাগিদ পত্র দেওয়া হবে। কারণ ইতিপূর্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই বিল ছাড় করার জন্য সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাতে করে কিছু বিল ছাড়ও হয়েছে। কিন্তু বকেয়া বিলের তুলনায় সেটি নগণ্য। এ জন্য আরেকটি তাগিদপত্র দেওয়া হবে।
সরকারের কাছে পাওনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো দিতে হবেই। এখন যেহেতু পত্র-পত্রিকাগুলো সংকটে আছে, তাই এখন দিলে বেশি কাজে আসবে।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম জানান, গণমাধ্যমের বিদ্যমান সংকট সমাধান এবং নতুন জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার পর কত দ্রুত সময়ে মূলধারার পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ নিবন্ধন করা যায় সেটি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। তথ্যমন্ত্রীও দ্রুত সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত সারা পৃথিবীতে গণমাধ্যম এখন সংকটের মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই সংকট সমাধানে সচেষ্ট থাকবেন এবং সহায়তা করবেন।
গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রার জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার বিকল্প নেই, উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যদিকে তথ্য সচিব কামরুন নাহার বৈঠকে ছিলেন।
Comments