আসামি নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন, আয়াছ উদ্দীন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তিন আসামি মারিশবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও আয়াছ উদ্দীন ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় এই তিন আসামিকে র্যাবের হোফাজত থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম আদালতে নিয়ে আসেন।
এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার সদর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহর খাস কামরায়।
সেখানে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করছেন বিচারক। তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সিনহাকে হত্যার পরের দিন ১ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানায় পুলিশ দুইটি মামলা দায়ের করে। মামলা দুইটির বাদি পুলিশের উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত।
এই দুই মামলার সাক্ষী করা হয় নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও আয়াছ উদ্দীনকে। এই তিনজন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, পুলিশ যে তাদের মামলায় সাক্ষী করেছে এই বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতও এই হত্যা মামলার একজন আসামি। তিনিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গত ৩১ আগস্ট।
নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও আয়াছ উদ্দীনকে সিনহা হত্যা মামলায় গত ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার করে র্যাব।
১২ আগস্ট তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয় ১৪ আগস্ট।
দ্বিতীয়বার ২৫ আগস্ট তিনজনের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয় ২৯ আগস্ট।
আদালতের আদেশবলে র্যাব গতকাল ১ সেপ্টেম্বর তাদের তিন জনকে তৃতীয় বার তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়। র্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় আজ তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।
সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা হত্যা মামলায় নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও আয়াছ উদ্দীনসহ মোট আট আসামি এ পর্যন্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে, জবানবন্দি দেন এই মামলার প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)-১৬ এর সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
অন্যতম আসামি বহিস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ১৫ দিন রিমান্ডে র্যাব হেফাজতে রয়েছেন। তিনিও আজ সকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট আসামি ১৩ জন।
Comments