বার্সার বিপক্ষে গোল দিলেও উদযাপন করবেন না রাকিতিচ

ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে আবারো সেভিয়াতে ফিরেছেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান রাকিতিচ। তবে শেষবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিদায় নিতে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এসেছিলেন পুরনো ক্লাবে। বার্সায় থাকাকালীন সময়ের সুখস্মৃতি নিয়ে নানা কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি জানালেন যদি কখনো বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল দিতে পারেন তাহলে কোনো ধরণের উদযাপন করবেন না তিনি।

ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে আবারো সেভিয়াতে ফিরেছেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান রাকিতিচ। তবে শেষবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিদায় নিতে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) এসেছিলেন পুরনো ক্লাবে। বার্সায় থাকাকালীন সময়ের সুখস্মৃতি নিয়ে নানা কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি জানালেন, যদি কখনো বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল দিতে পারেন তাহলে কোনো ধরণের উদযাপন করবেন না তিনি। 

বার্সেলোনা ক্লাব তার হৃদয়ে রয়েছে বলেই ক্লাবটির বিপক্ষে গোল দিলে উদযাপন করতে পারবেন বলে মনে করেন রাকিতিচ, 'বার্সেলোনার প্রতি আমার সম্মান সবসময়ই সর্বোচ্চটা থাকবে এবং আমি (বার্সার বিপক্ষে) গোল দিতে পারলে তা উদযাপন করব না। আমি এখানে কি করেছিলাম তা মনে করার চেষ্টা করব, আর যদি সে সকল স্মৃতি মনে পড়ে তাহলে আমি গোল উদযাপন করব না। কারণ আমি বার্সেলোনাকে হৃদয়ে স্থাপন করেছি।'

সেভিয়া থেকে ২০১৪ সালে নাম লিখিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। এরপর ছয়টি মৌসুম কাটিয়েছেন এ ক্লাবে। যদিও শেষ মৌসুমটা বাজে গিয়েছে তাদের। শিরোপা শূন্য থেকেছেন। নিজেও সে অর্থে খেলার খুব বেশি সুযোগ পাননি রাকিতিচ। আর শেষ ম্যাচটা তো খুবই বাজে গিয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় তার দল। তবে চলতি মৌসুমে নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান যোগ দেওয়ার পর সব কিছুই বদলে যায়। রাকিতিচকে নতুন ক্লাব খুঁজে নেওয়ার কথা বলেন ডাচ কোচ।

তবে কোচ বলারই আগেই বার্সেলোনা থেকে নিজেকে অনেকটা সরিয়ে ফেলেছিলেন রাকিতিচ। বায়ার্নের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পুরো ক্লাবটি যখন শোকাচ্ছন্ন, তখন পুরনো ক্লাব সেভিয়ার ইউরোপা লিগ জয়ে উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে তাকে। আনন্দে সুইমিং পুলে ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। অথচ সেই হারে পুরো ক্লাবটিই উলট-পালট। নিজেদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়টিকেও (লিওনেল মেসি) হারাতে বসছে তারা।

ক্লাব ছাড়া প্রসঙ্গে রাকিতিচ বলেন, 'কোচের মেসেজের চেয়ে আমার মধ্যে অনুভূতিটা বেশি কাজ করেছে। সময় হয়ে গেছে এবং সেভিয়াতে ফিরে যাওয়ার একটা তাগিদ অনুভূত হয়েছে। যত দিন বার্সেলোনায় ছিলাম তার শেষ ক্ষণ পর্যন্ত আমি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছি। যখন মনে হয়েছে এখন বাঁধন ছিঁড়ে ফেলার সময় হয়েছে, তখনই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোচের কথায় আমি খুবই কৃতজ্ঞ।'

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago