লাদাখের প্রায় ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার চীনের দখলে

ছবি: সংগৃহীত

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর লাদাখের প্রায় এক হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা এখন চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া গোয়েন্দা তথ্য থেকে এটি জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, এপ্রিল-মে থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে এলএসির পাশে নিজেদের উপস্থিতি মজবুত করে চলেছে চীন।

এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে জানান, দেপসাং সমভূমি থেকে চুশুল পর্যন্ত এলএসি বরাবর অঞ্চলগুলোতে চীনা সেনাবাহিনী নিয়মতান্ত্রিকভাবে একত্রিত হচ্ছে।

দেপসাং সমভূমির টহল পয়েন্ট ১০-১৩ এর মধ্যে ভারতের দাবি করা এলএসির প্রায় ৯০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে চীন। গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার ও হট স্প্রিংস অঞ্চলে ১২ বর্গ কিলোমিটার জায়গা চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানা গেছে।

প্যানগং সোতে চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে ৬৫ বর্গকিলোমিটার ও চুশুলে চীন ২০ বর্গকিলোমিটার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

প্যানগং সো (হ্রদ) এর কাছে ফিঙ্গার ৪-৮ অঞ্চল পর্যন্ত চীনা বাহিনীর দখলে আছে। ৪-৮ এর মাঝখানে পাহাড়সহ হিসাব করলে জায়গাটি প্রায় আট কিলোমিটার।

ভারত ও চীন উভয় দেশই মে পর্যন্ত এই অঞ্চলটিতে টহল দিয়েছে। ভারত এই জায়গাটিকে এলএসির অংশ হিসেবে বিবেচনা করে।

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরের বিভিন্ন দফায় আলোচনার পরও চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে।

ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএস) অজিত দোভাল ও চীনের প্রতিনিধি ওয়াং ইয়িকে সীমান্ত বিরোধের সমাধানের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫ জুলাই তারা আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর আংশিক সমাঝোতায় পৌঁছে দুই দেশ।

চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সেনারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে এবং সমস্ত বিতর্কিত জায়গাগুলোতে বাফার অঞ্চল তৈরির জন্য কাজ শুরু হয়।

তবে, এর মধ্যেই আবারও সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago