মেসি বলেছেন, বার্সাতেই থাকছেন তিনি

চেয়েছিলেন নতুন কোনো ক্লাবে যোগ দিতে। কিন্তু সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না লিওনেল মেসির। অন্তত এক বছরের জন্য। এ মৌসুমে বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গোলডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা।
messi
ছবি: রয়টার্স

চেয়েছিলেন নতুন কোনো ক্লাবে যোগ দিতে। কিন্তু সে ইচ্ছা আর পূরণ হলো না লিওনেল মেসির। অন্তত এক বছরের জন্য। এ মৌসুমে বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকা। ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট গোলডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা।

সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, 'আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে আমি চলে যেতে পারব। আমি প্রেসিডেন্টকে সবসময়ই বলে এসেছি মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিব, আমি থাকব না চলে যাব। এখন তারা বলছে আমি আগে বলিনি, কেন ১০ জুনের আগে জানাইনি? জুনের ১০ তারিখে আমরা করোনাভাইরাসের কারণে লা লিগার মাঝামাঝি পর্যায়ে ছিলাম এবং মহামারির কারণে মৌসুমটা পিছিয়ে গিয়েছিল।'

এছাড়া বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এ আর্জেন্টাইন, 'বছর জুড়ে আমি প্রেসিডেন্টকে বলে আসছিলাম আমি ক্লাব ছাড়ব। তিনিও বলেছিলেন মৌসুমের শেষে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার কথা রাখেননি... এবং এই কারণেই আমি ক্লাবে থেকে যাচ্ছি। এখন আমি ক্লাবে থেকে যাচ্ছি কারণ প্রেসিডেন্ট আমাকে বলেছিলেন যে, ছাড়ার একমাত্র উপায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়া এবং এটি অসম্ভব।'

দুদিন আগে বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মেসির বাবা, যিনি কি-না তার ছেলের মুখপাত্রও বটে। কিন্তু কোনো গতি করতে পারেননি। কোনোভাবেই বার্তোমেউর সিদ্ধান্তকে টলাতে পারেননি তিনি। হয় ক্লাবে থাকো, নয় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দাও। এটাই ছিল ক্লাব সভাপতির ভাষ্য।

এর আজ লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছেও রিলিজ ক্লজের ধারা উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, কেন ফ্রি ট্রান্সফারে যেতে চান তিনি। কিন্তু লা লিগাও মেসিদের কথা শোনেননি। এর আগের দেওয়া বিবৃতিতেই অটল থেকেছেন তারা।

তবে একটা পথ খোলা ছিল মেসির। সেটা আইনি পথ। ক্রীড়া আদালতে মামলা করলে হয়তো মুক্তি পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেটা উল্টো কাল হয়ে দাঁড়াতো তার জন্য! কারণ এ ধরণের মামলার সুরাহা হতে কমপক্ষে ছয় মাস থেকে এক বছরও লেগে যায়। আর তাহলে পুরো মৌসুমই বসে থাকতে হতো মেসিকে। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে যখন আর দেড়-দুই বছর খেলতে পারবেন শীর্ষ পর্যায়ে, তখন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন তিনি?

ভাবনায় ছিল আর একটি বিষয়। এক বছর বসে থেকে ফ্রি এজেন্ট হওয়ার কথা ভাবতেন যদি তার চুক্তির মেয়াদটা অনেক লম্বা হতো। আগামী মৌসুম শেষেই এমনিতেই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন তিনি। সেখানে এমন ঝুঁকি নেওয়ারও কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তবে মেসিকে আটকে রেখে আপাতত চামড়া বাঁচিয়েছেন বার্তোমেউ। কারণ মেসিকে বিনে পয়সায় ছেড়ে দিলে জেলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল তার। সঙ্গে বিশাল অঙ্কের জরিমানা। কারণ আগামী জানুয়ারিতে নতুন করে নির্বাচন হবে বার্সেলোনা ক্লাবে। গুঞ্জন রয়েছে, সেখানে অংশগ্রহণ করছেন না বার্তোমেউ। করলেও যে আবার নির্বাচিত হবেন, এমন সম্ভাবনাও কম। তাই নতুন সভাপতি এসে তার নামে সম্পদের অপব্যবহার করার মামলা ঠুকে দিতেই পারেন। আর করলেই ফেঁসে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago