দুঃসময়ে বাজে মানুষদের চিনতে পেরেছেন মেসি

কথায় বলে, বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। এ সময়ে যে পাশে থাকে এবং যে এড়িয়ে চলে যায়, তাদের না-কি কখনোই ভোলা যায় না। বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার সময়টায় জীবনের অন্যতম বাজে সময়ই কেটেছে লিওনেল মেসির। আর এ সময়ে নকল মানুষদের চিনতে পেরেছেন এ আর্জেন্টাইন। দুঃসময়ে এমন উপলব্ধিই হয়েছে রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকার।
lionel messi
ছবি: এএফপি

কথায় বলে, বিপদেই বন্ধুর পরিচয়। এ সময়ে যে পাশে থাকে এবং যে এড়িয়ে চলে যায়, তাদের না-কি কখনোই ভোলা যায় না। বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার সময়টায় জীবনের অন্যতম বাজে সময়ই কেটেছে লিওনেল মেসির। আর এ সময়ে নকল মানুষদের চিনতে পেরেছেন এ আর্জেন্টাইন। দুঃসময়ে এমন উপলব্ধিই হয়েছে রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এ তারকার। 

দিন দশেক আগে বুরোফ্যাক্স এক বার্তায় বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন মেসি। তবে তাকে ছাড়তে নারাজ ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। অথচ এর আগে তাকে তিনি কথা দিয়েছিলেন মৌসুম শেষে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু পরে নিজের কথায় অটল থাকেননি। তাই বাধ্য হয়েই তাকে থেকে যেতে হচ্ছে বার্সেলোনায়।

আর শুধু যে ক্লাব সভাপতিই কথা রাখেননি তাও নয়, অনেকেই তার সমালোচনায় মেতে উঠেছিলেন। ক্লাবটির প্রতি তার ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাকে কষ্ট পেয়েছেন মেসি। গোলডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বার্সেলোনার প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন করা লোকদের কাছ থেকে এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন জিনিস বলতে শুনেছি যার প্রাপ্য আমি ছিলাম না। আমি কষ্ট পেয়েছি। তবে এটি আমাকে মানুষ চিনতেও সহায়তা করেছে।'

দুঃসময়ে আশেপাশের মেকি মানুষদের চিনতে পেরেছেন বার্সা অধিনায়ক, 'এই ফুটবল বিশ্ব খুবই কঠিন এবং এখানে অনেক নকল মানুষ আছে। এই ঘটনাটি আমাকে অনেক ভুয়া মানুষকে চিনতে সহায়তা করেছে। এই ক্লাবটির প্রতি আমার ভালবাসা যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল তখন তা আমাকে আঘাত করেছে। আমি যতই যাই বা থাকি না কেন, বার্সার প্রতি আমার ভালোবাসা কখনোই বদলাবে না।'

অনেকেই ভেবেছিলেন নিজের স্বার্থ আদায় করার জন্য শেষ পর্যন্ত ক্লাবকে কাঠগড়ায় তুলবেন মেসি। কিন্তু আদতে তা করেননি। ইচ্ছে না হলেও থেকে গেছেন। প্রিয় ক্লাবের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। মেসির ভাষায়, 'আমার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা জিনিস প্রকাশিত হয়েছে। তারা ভেবেছিল যে আমি নিজের স্বার্থের জন্য বার্সার বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারি। কিন্তু কখনোই আমি এ জাতীয় কাজ করতাম না।'

তবে বার্সা যে ছাড়তে চেয়েছেন তা মনেপ্রাণে স্বীকার করছেন মেসি। আর কেন যেতে চেয়েছেন তা আরও একবার ব্যাখ্যা করেন এ তারকা, 'আমি পুনরায় বলি, আমি যেতে চেয়েছিলাম এবং এটি পুরোপুরি আমার অধিকার। কারণ চুক্তিটি বলেছিল যে আমি মুক্তি পেতে পারি। এমন না যে, "আমি যাচ্ছি এবং এটাই"। আমি চলে যাচ্ছিলাম এবং এতে আমার অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। আমি যেতে চেয়েছিলাম কারণ আমি আমার ফুটবলের শেষ বছরগুলো আনন্দ নিয়ে বাঁচার কথা ভেবেছিলাম। ইদানীং আমি ক্লাবের মধ্যে সুখ পাই না।'

২০১৭ সালে করা চুক্তি অনুযায়ী, ১০ জুনের আগে জানালে বিনা রিলিজ ক্লজে ক্লাব ছাড়তে পারতেন মেসি। এমনটা করে আরও বেশি টাকা কামাতে পারতেন বলেও জানান তিনি। শুধু ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার জন্যই থেকে গেছেন বলে জানান অধিনায়ক, 'আমি সবসময় ক্লাবকে অন্য যে কোনো কিছুর আগে রাখি। প্রতিবছরই বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যেতে পারতাম এবং আরও বেশি টাকা উপার্জন করতে পারতাম। আমি সবসময় বলেছিলাম যে এটি আমার বাড়ি এবং এটিই আমি অনুভব করেছি এবং অনুভব করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago