লাইন জাজকে আঘাত, ডিসকোয়ালিফাইড জোকোভিচ

novak djokovic
ছবি: রয়টার্স

একে তো বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড়, তার উপর ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। ২০২০ সালে হারেননি একটি ম্যাচও। তাই ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের দৌড়ে তাকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। কিন্তু আসর থেকে শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচের বিদায়টা হলো বিস্ময়করভাবে। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে এক লাইন জাজকে দুর্ঘটনাক্রমে বল দিয়ে আঘাত করায় ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছেন এই সার্বিয়ান তারকা।

ফ্লাশিং মিডোসে রবিবার রাতে স্পেনের পাবলো কারেনো বুস্তার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন জোকোভিচ। কিন্তু প্রথম সেটে ৬-৫ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পকেট থেকে একটি বল বের করে র‍্যাকেট দিয়ে বেশ জোরের সঙ্গে কোর্টের পেছনের দিকে মারেন তিনি। অপ্রত্যাশিতভাবে সেটা গিয়ে লাগে এক নারী লাইন জাজের গলায়। ব্যথা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন তিনি।

১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা চান এবং দ্রুততার সঙ্গে যন্ত্রণাকাতর ওই ম্যাচ অফিসিয়ালের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ পর সুস্থ হয়ে উঠে বসেন ওই নারী লাইন জাজ। কিন্তু ততক্ষণে নির্ধারিত হয়ে যায় ৩৩ বছর বয়সী জোকোভিচের ভাগ্য।

এরপর প্রতিযোগিতার রেফারি সোরেন ফ্রিমেল আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে আসেন। প্রথমে ম্যাচের আম্পায়ার অরেলি ট্যুরটের সঙ্গে এবং পরে জোকোভিচের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন তিনি। আলোচনা শেষে নিয়ম অনুযায়ী তিনবারের ইউএস ওপেন জয়ী তারকাকে ডিসকোয়ালিফাইড ঘোষণা করেন আসরের কর্মকর্তারা।

গ্র্যান্ড স্ল্যামের নিয়মকানুনের মধ্যে লিখিত রয়েছে, ‘কোনো খেলোয়াড় কোনো সময়েই প্রতিযোগিতার সীমার ভেতরে কোনো অফিসিয়াল, প্রতিপক্ষ, দর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারবেন না।’

যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাই জোকোভিচ এবারের ইউএস ওপেনে অর্জন করা সমস্ত র‍্যাঙ্কিং পয়েন্ট হারাবেন এবং তাকে প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত জেতা প্রাইজ মানি জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি আপত্তিকর ওই ঘটনার জন্য ধার্য করা অন্যান্য জরিমানাও দিতে হবে তাকে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে জোকোভিচ ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘এই গোটা ঘটনায় আমি সত্যিই দুঃখিত এবং নিঃস্ব অনুভব করছি। আমি লাইন জাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ কারণ আয়োজকরা আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বেশ ভালো বোধ করছেন। তাকে যন্ত্রণা দেওয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এটা অনিচ্ছাকৃত হলেও ভুল ছিল।’

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago