তিস্তাপাড়ের বন্যাদুর্গত এলাকায় ১২টি নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত ও নদীভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় ১২টি নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগারের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার বাংলাদেশের সভাপতি রাইসুল মিল্লাতের আর্থিক সহযোগিতায় এসব নলকূপ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা চারটি নলকূপ স্থাপন করেছেন। আরও আটটি স্থাপনের কাজ চলমান।
বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রতিটি নলকূপ ১২০-১৫০ ফিট পর্যন্ত গভীর করা হয়েছে। প্রতিটি নলকূপ স্থাপনের ব্যয় নয় হাজার ৫৪০ টাকা।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী বাগডোরা এলাকার নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত সোলেমান আলী (৬৫) বলেন, ‘তিস্তাপাড়ে আমাদেরকে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়তে হয়। আমাদের বাড়িতে নলকূপ রয়েছে। তবে, এগুলোর গভীরতা কম হওয়ায় বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না। শিক্ষার্থীরা নলকূপ স্থাপন করে আমাদের বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। এতে আমরা খুশি।’
তিস্তা নদীর তীরবর্তী কুটিরপাড় এলাকার নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দা রাশেদা বেওয়া (৬০) বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্থাপন করা নলকূপটি আমাদের অনেক উপকারে আসবে। আমরা এ নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ পানি পাব। এই নলকূপের পানিই পান করব ও রান্নার কাজে ব্যবহার করব।’
সারপুকুর যব ফোরাম পাঠাগারের সভাপতি জামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এসব নলকূপ কোনো একক ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য স্থাপন করা হয়নি। নলকূপের পানি গ্রামের সবাই ব্যবহার করবেন। মূলত নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহেন জন্য চারটি নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। আরও আটটি স্থাপনের কাজ চলমান। আমরা শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে গিয়ে নলকূপগুলোর খোঁজ নেব। নলকূপগুলোর ব্যবহার যাতে যথার্থ হয়, সেদিকে আমরা নজর দেবো।’
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অসহায় মানুষর পাশে দাঁড়িয়েছে, এটা সমাজের জন্য ভালো দিক। উন্নত ও শান্তির সমাহ গঠনে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। তিস্তাপাড়ের বন্যা ও ভাঙনকবলিত মানুষ তাদের উদ্যোগে স্থাপিত নলকূপ পেয়ে খুশি হয়েছেন।’
Comments