অভিনেতা সাদেক বাচ্চু হাসপাতালে

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা এবং মঞ্চ ও টেলিভিশনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের গুণী অভিনেতা সাদেক বাচ্চু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাদেক বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল অভিনেতা এবং মঞ্চ ও টেলিভিশনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের গুণী অভিনেতা সাদেক বাচ্চু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সাদেক বাচ্চুর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর দিনভর তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। অবস্থা বেশি খারাপ হলে রাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে অক্সিজেনের মাধ্যমে তার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যে সাদেক বাচ্চুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। এরপর শুরু হবে মূল চিকিৎসা।

অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু। খল চরিত্রেই বেশি কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। সিনেমা ছাড়াও মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশনেও অনেক নাটক করেছেন।

বিটিভির আলোচিত গ্রন্থিক গণ কহে, জ্বোনাকি জ্বলে, সুজন বাধিয়ার ঘাট, পূর্ব রাত্রি পূর্ব দিন, নকশি কাঁথার মাঠ— নাটকগুলোতে অভিনয় করে সেই সময়ে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। ৯০ দশকের বহুল আলোচিত সিনেমা বিখ্যাত পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে সাদেক বাচ্চু আলোচনায় আসেন।

৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার তার। শুরুতে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতেন। মতিঝিল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এই দলের সভাপতিও তিনিই। বেতারে একটা সময়ে প্রচুর নাটক করেছেন। বেতারের খেলাঘর তার আলোচিত একটি নাটক।

টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৪ সালে। নাটকটির নাম ছিল— প্রথম অঙ্গীকার। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেন আশির দশকে। সিনেমাটির নাম— রামের সুমতি। পরিচালনা করেন শহিদুল আমিন।

১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই অভিনেতা। অভিনয় ছাড়াও দীর্ঘ দিন তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগে চাকরি করেছেন। ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় অভিনয় করে খল অভিনেতা হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

ঢাকাই সিনেমায় নানারকম চরিত্রে অভিনয় করে খল অভিনেতা হিসেবে নিজের অবস্থান গড়ে নেন। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে— জীবন নদীর তীরে, কোটি টাকার কাবিন, পিতা মাতার আমানত, সুজন সখী, মায়ের চোখ, আমার প্রাণের স্বামী, ভালোবাসা জিন্দাবাদ, বধূবরণ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, লোভে পাপ পাপে মৃ্ত্যু, মন বসে না পড়ার টেবিলে প্রভৃতি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago