সংগীতাঙ্গনে নৈরাজ্য বন্ধে এক হলেন কণ্ঠশিল্পীরা
সংগীতাঙ্গনে নৈরাজ্য বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হলেন কণ্ঠশিল্পীরা। শিল্পীদের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সংগীতাঙ্গনের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যয়ে যাত্রা করল কণ্ঠশিল্পীদের নতুন সংগঠন কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ।
এ সংগঠনে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।
সংগীতের এই কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীতে আছেন সঙ্গীতজ্ঞ সৈয়দ আবদুল হাদী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, খুরশীদ আলম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, লিনু বিল্লাহ, শাহীন সামাদ, পাপিয়া সারোয়ার, ফেরদৌস আরা, তপন মাহমুদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা ও ইয়াকুব আলী খান।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, সাদী মহম্মদ, কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, অদিতি মহসিন, খায়রুল আনাম শাকিল, শফি মণ্ডল, রবি চৌধুরী, এস আই টুটুল, আগুন, আঁখি আলমগীর, চন্দন সিনহা, দিনাত জাহান মুন্নী, অনিমা রায়, প্রিয়াঙ্কা গোপ, মঈদুল ইসলাম খান শুভ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাস, সোমনুর মনির কোনাল ও ইলিয়াস হোসাইন।
সংগঠনটির নবনিযুক্ত আহ্বায়ক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলা গানের রয়েছে এক অভূতপূর্ব ক্ষমতা ও ঐতিহ্য। দীর্ঘ ৫০ বছরের অবহেলিত সংগীতাঙ্গনের মানুষদের জন্য কোনো সুষ্ঠু রূপকল্প বা নীতিমালা তৈরি করা যায়নি। সংস্কৃতির অন্য সব ধারায় আছে শক্তিশালী সংগঠন, ঐক্য। তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারেন। অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। আমরা এজন্যে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠশিল্পীদের অন্তর্ভুক্তি উন্মুক্ত রেখেছি।’
যুগ্ম আহবায়ক কুমার বিশ্বজিৎ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘বিগত দিনে আমরা সংগীতের অনেক গুণীজনকে হারিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। করোনাকালে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় কর্মহীন পার করে হাঁপিয়ে উঠেছে শিল্পীসমাজ। কণ্ঠশিল্পীদের আয়ের প্রধান মাধ্যম স্টেজ, আর সে স্টেজ শো আজ বন্ধ। এ বাস্তবতা সংঘবদ্ধভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। শিল্পীরা চান তাদের সৃষ্টির যোগ্যতা নিয়ে স্বাবলম্বী হতে। এই স্বপ্নকে সামনে রেখে এগিয়ে যাব।’
Comments