‘অধিনায়ক’ সৌরভকে তৈরি করে দিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন!
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়কদের কাতারে উপরের দিকে আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাকে মনে করা হয় ভারতের বাঁক বদলের নায়কও। যার নেতৃত্বে সৌরভের ক্যারিয়ার শুরু, সেই আজহারউদ্দিনও নেতৃত্বে দেখিয়েছিলেন মুন্সিয়ানা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ মনে করেন, কেবল তা-ই নয়, সৌরভকে নেতৃত্বের জন্য তৈরিও করে দিয়েছলেন আজহারই।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব হারান আজহার। পরে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে নিষেধাজ্ঞাতেও পড়তে হয় তাকে। এর আগে ভারতকে ৪৭ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১৪টিতে জিতিয়েছেন, ড্র করেছেন ১৯ ম্যাচ। ১৭৪ ওয়ানডেতে তার অধীনে ৯০ ম্যাচে জিতে ভারত।
আজহারের পর কিছুদিন দায়িত্ব পান শচীন। কিন্তু সৌরভের দায়িত্ব নেওয়ার পরই খোলনলচে বদলে যায় ভারতের। ৪৯ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২২টিতে দলকে জিতিয়েছেন, হেরেছেন ১৪টি আর ড্র করেছেন ১৫ টেস্ট।
আর ১৭৬ ওয়ানডেতে ৭৬টিতে সৌরভের নেতৃত্বে জেতে ভারত। ২০০৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলে উঠে ফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অন্যরকম সাফল্যও এনে দেন বর্তমানে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ। ভারতের শরীরী ভাষায় বদলে এনে আগ্রাসী ভাব আসে সৌরভের আমলেই।
প্রায় একই সময়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে থাকা রশিদ লতিফ মনে করেন, ভারতের অধিনায়কত্বের ঝলকের শুরুটা করেছিলেন আজহার। তার ধরিয়ে দেওয়া পথে হাল ধরেছেন সৌরভ, ‘আজহারউদ্দিনকে আমি অনেক সম্মান করি। সে ভারতীয় ক্রিকেটকে লম্বা সময় সেবা দিয়েছে এবং সৌরভ গাঙ্গুলির মতো একজনকে রেখে গেছে। সৌরভকে অধিনায়ক হিসেবে তৈরি করতে বড় ভূমিকা ছিল আজহারের। শচীন, দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিরা সৌরভের অধীনে খেলেছে।’
‘আপনারা যদি ধোনির ক্যারিয়ার দেখেন। এটাও গাঙ্গুলির সঙ্গে কোনএকভাবে নির্ভরশীল। যে ধরনের মানসিকতা আর নেতৃত্ব গাঙ্গুলির ছিল তা আসলে প্রকৃতি প্রদত্ত।’
রশিদ মনে করেন, আজহার-সৌরভের সমন্বয়েই ভারতে সাফল্যের চূড়ায় নেন ধোনি, ‘মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন গাঙ্গুলিকে তৈরি করেছেন। আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে মিল রেখে ধোনি এই দুজনের গুন সমন্বয় করেছে। সে দলের মধ্যে জেতার মানসিকতা রেখেছে, দলের সংস্কৃতি বানিয়েছে। ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করেছে।’
‘ধোনি তিনটা বিশ্ব শিরোপা (একটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) জিতেছে যা আর কেউ করতে পারেনি। দলকে এগিয়ে নিতে ধোনি ঝুঁকি নিয়েছে, তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছে। তার চরিত্রের ছাঁচে ফেলে ক্রিকেটারদের গড়ে নিয়েছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস পুঁতে দিয়েছে।’
Comments