উন্নয়ন নাকি ধ্বংসায়ন?
কয়েকটি পাহাড় কেটে একটি রাস্তা তৈরি করেছে বান্দরবান জেলা পরিষদ। কিন্তু নির্বিচারে পাহাড় কাটার কারণে মারাত্মক পাহাড় ধসের ফলে সেই উন্নয়ন এখন ধ্বংসায়নে পরিণত হয়েছে।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্যই মূলত রাস্তাটি নির্মাণ করেছে বান্দরবান জেলা পরিষদ। বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, এটি একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। আর মন্ত্রীর স্ত্রীর বড় ভাই ক্য শৈ হ্লা হলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
বান্দরবান জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি পাহাড় কেটেই আমরা এই রাস্তাটি তৈরি করেছিলাম। সুয়ালক ইউনিয়ন এলাকায় নির্মাণাধীন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্যই দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল।’
পাহাড় কেটে নির্মিত রাস্তা টেকসইকরণে বান্দরবান জেলা পরিষদ যখন ব্যর্থ হয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) বান্দরবান ইউনিট তখন পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ টাকা খরচ দেখিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাটির উন্নয়নে আরও একটি প্রকল্প নেয়।
গত ১০ আগস্ট প্রকল্পটির টেন্ডার হয় বলে জানান এলজিইডির এক কর্মকর্তা।
এলজিইডি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী এন এস এম জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের অনুরোধে আমরা এক কিলোমিটার রাস্তাটির উন্নয়নে এই প্রকল্প নিয়েছি। এর ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।’
এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কেন এত টাকা প্রয়োজন? জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ধসে যাওয়া রাস্তাটি রক্ষা করতে আমাদের রিটেইনিং ওয়ালও তৈরি করতে হবে।’
প্রকল্পটি নেওয়ার আগে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কি না? জানতে চাইলে প্রকৌশলী জিল্লুর বলেন, ‘আমি দেখতে যাইনি, তবে আমাদের কর্মীরা দেখেছেন।’
Comments