মৃত্যু ৯ লাখ ১৩ হাজার, আক্রান্ত ২ কোটি ৮৩ লাখের বেশি
বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে নয় লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৮৩ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখের বেশি মানুষ।
আজ শনিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন নয় লাখ ১৩ হাজার ১৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার ৯০১ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ লাখ ৪৩ হাজার ২২৭ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৯২ হাজার ৯৬৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ২৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৭৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৬ জন, মারা গেছেন এক লাখ ২৯ হাজার ৫২২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ১৮৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৫৮ হাজার ২৯৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থতে থাকা যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৭০৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ৮৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৮ জন।
সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয়তে থাকা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১৪ জন, মারা গেছেন ৭৬ হাজার ২৭১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৬৬ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, পেরু, কলম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৭ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৩০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৬ জন। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ১০ হাজার ৬৭ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৩৪৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৫ জন।
কলম্বিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৪ জন, মারা গেছেন ২২ হাজার ২৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৪৭৯ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৮ জন, মারা গেছেন ১৫ হাজার ৩৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮৭ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৩০ হাজার ৫৩৫ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ৮৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন চার লাখ তিন হাজার ৬৪ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৯৭ হাজার ৮০১ জন, মারা গেছেন ২২ হাজার ৯১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৪২ হাজার ৫৩৯ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার ১২৬ জন, মারা গেছেন ছয় হাজার ৯৫১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫৬ হাজার ৫২৪ জন।
ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ৩২৬ জন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ৭৪৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৬ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ৫৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৪৩২ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ এক হাজার ৮৯০ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ৮০৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৯ হাজার ৮৯০ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৫ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ৩৪৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ১৪৫ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৭৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ২৪ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন চার হাজার ৬৬৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ২৪ জন।
Comments