এইচপি দলের শ্রীলঙ্কা সফর অনিশ্চিত
জাতীয় দলের সঙ্গে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) স্কোয়াডকেও শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠাতে চেয়েছিল বিসিবি। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এইচপি দলের সঙ্গেই ভাগ হয়ে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ছক করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণের পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিসিবির এই পরিকল্পনা।
এইচপি দল সফর করলে ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ৬৫ জনের বিশাল বহর নিয়ে লঙ্কায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু শ্রীলঙ্কা জানিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ৩০ জন নিয়ে সফর করতে পারবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে এইচপি দলকে বাদ দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান ও গেম ডেভোলাপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদের সঙ্গে রোববার বৈঠক করে গণমাধ্যমে এই অনিশ্চয়তার কথা জানান এইচপি ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ‘সফরকারী দলের সদস্য সংখ্যা ওরা অনেক কাটছাঁট করতে চাইছে, এটি একটি ইস্যু। সেখানে আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। জাতীয় দল এবং এইচপির এক সঙ্গে শ্রীলঙ্কাতে খেলার পরিকল্পনাতে আছি এখনও। শ্রীলঙ্কা বোর্ড ও আমাদের বোর্ড অনেক ক্ষেত্রে একমত ছিল, সেখানে শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু অবজারভেশন দিয়েছে। এখন আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো ওদেরকে দেব। তার পর শ্রীলঙ্কা বোর্ড তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদেরকে জানাবে।’
চেষ্টা করলেও এইচপি দলকে যে শ্রীলঙ্কা পাঠানো যাচ্ছে না সেই আভাস দিয়ে রেখেছেন দুর্জয়, ‘তবে ওদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনার বাইরে তো যাওয়া যাবে না। সবকিছু শ্রীলঙ্কান বোর্ড চাইলেও করতে পারছে না, ওরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে, আর্মি আছে। সেসব নিয়েই কথা চলছে। আজকের আলাপে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় যাওয়া যায়নি।’
কথা ছিল জাতীয় দলের সঙ্গে একই সময়ে সফর করে এইচপি দল শ্রীলঙ্কা এইচপি দলের সঙ্গে সেখানে একটি সিরিজ খেলবে। আপাতত সেই সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় জাতীয় দলের সফরের দিকেই বেশি নজর বিসিবির, ‘এইচপির সফরটা আলাদা, অগ্রাধিকার পাবে জাতীয় দলের সফর। এইচপির ক্যাম্প আমরা এখন করতে পারব, পরেও করতে পারব। কিন্তু জাতীয় দলের যে সফর, সেটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। আমরা যদি এই উইন্ডো মিস করি, তাহলে নতুন উইন্ডো বা স্লট বের করা কঠিন হবে। সুতরাং জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজটা অগ্রাধিকার পাবে।’
Comments