শ্রীলঙ্কার কঠিন শর্ত মেনে সফর সম্ভব নয়: বিসিবি সভাপতি
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফরের ব্যাপারে নেতিবাচক খবর দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কড়া নিয়মের শর্ত মেনে সফর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে জরুরী সভা করেন বিসিবি প্রধান। পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, লঙ্কানদের ‘অস্বাভাবিক’ শর্ত মেনে নেওয়া তাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়। নিজেদের এই অবস্থান শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান নাজমুল।
বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফর না করলে এই সময়ে দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করার হবে বলেও জানিয়েছেন বোর্ড প্রধান।
গণমাধ্যমে হাজির হয়ে বিসিবি প্রধান জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম থাকায় শ্রীলঙ্কাকে বেছে নিয়েছিলেন তারা, ‘শেষ যখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, বলেছিলাম ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা সফর নিরাপদ। এটা ভাবার পেছনে কারণ ছিল ওদের করোনা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। ওদের ওখানে ওরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করে দিয়েছে। আপনি যদি দেখেন অন্যান্য দেশে যখন খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওদের ওখানে খেলা চালু ছিল। ’
‘যেহেতু আমাদের এখানে অনুশীলন, খেলাধুলা বন্ধ করে রেখেছি। এখানে অনুশীলন করা কঠিন। সেজন্য আমরা চিন্তা করলাম, খেলোয়াড় কোচ সবার কথা চিন্তা করে ওদের ওখানে গিয়ে অনুশীলন করা নিরাপদ হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিরিজটির জন্য রাজি হয়েছিলাম এবং আমরা বলেছিলাম ওখানে যাবো এবং বিশাল বাহিনী নিয়ে যাবো।‘
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে চলতি মাসের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জাতীয় দলের সঙ্গে এইচপি দলকেও সফরে নিয়ে যাওয়ার আলাপ অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এইচপি দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে টেস্টের জন্য তৈরি হওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিসিবির।
তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা ও সফরের সদস্য সংখ্যা সীমিত রাখা নিয়ে লঙ্কান বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হুট করে থমকে যায়।
বোর্ড প্রধান জানান, রোববার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির পর বদলে গেছে পুরো চিত্র, ‘ওখানে অনুশীলন করে আমরা তিন টেস্ট খেলে আসবো। শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে এটাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যে কথাবার্তা হয়েছে সেগুলো এরকমই ছিল। কালকে যে চিঠিটা এসেছে, এটা দেখে বুঝলাম আমরা যে ভেবেছি তার ধারের কাছে তো না-ই। অন্যান্য যেসব দেশে এখন ক্রিকেট খেলা হচ্ছে তাদের সঙ্গেও কোনো মিল নেই।’
নাজমুল জানান লঙ্কানদের বেধে দেওয়া শর্ত রীতিমতো অস্বাভাবিক, ‘কতগুলো জিনিস একেবারেই নতুন। যেমন ধরেন, অন্যান্য জায়গায় কোনো দেশে সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে। কিন্তু অনুশীলন করতে পারছে। তারা তাদের মতো করে অনুশীলন করছে। কোনো জায়গায় তিন দিন পরই অনুশীলন করতে পারছে। জিমনেশিয়াম ব্যবহার করতে পারছে। কালকে যেটা পেলাম তাতে মনে হচ্ছে কেউ ১৪ দিন হোটেলের রুম থেকে বের হতে পারবে না। খাওয়ার জন্যও বের হতে পারবে না।’
Comments