বিমানের দায়িত্ব আবার মন্ত্রণালয়ে

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদন
ফাইল ফটো

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং একে স্বতন্ত্রভাবে পরিচালনা করতে পাবলিক লিমিটেড করা হলেও, সরকার আজ বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের হাতে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ রেখে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ার কারণে বিদ্যমান বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭৭ এর আর প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ‘বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন (রহিতকরণ) আইন-২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এতে যোগ দেন।

২০০৭ সালের ২৩ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমান একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করে।

কোম্পানি আইন অনুসারে বিমানের স্বাধীনভাবে পরিচালন এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।

বিমানের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ১৩ সদস্যের বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা এবং এর চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনই সরকার কর্তৃক নিযুক্ত। এ ছাড়াও, বিমানের ১০০ ভাগ শেয়ার সরকারের হাতেই আছে।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অধ্যাদেশ, ১৯৭৭ বাতিল হলেও, অধ্যাদেশে বর্ণিত প্রাসঙ্গিক কাজগুলো কোম্পানির ওপর ন্যস্ত থাকছে।'

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিমান যেহেতু একটি সরকারি মালিকানাধীন সংস্থা, তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একে নিয়ন্ত্রণ করবে।'

তিনি বলেন, 'পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করে।'

মহিবুল হক বলেন, 'যেহেতু বিমানকে পরিচালনা করার মতো কোনও বিভাগ নেই, তাই, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব নিচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

18 lower court judges sent into forced retirement

A circular was issued in this regard tonight by Branch-3 of the Judicial Division under the Law and Justice Division

1h ago