বিএম কলেজে সশস্ত্র হামলা, কম্পিউটার অপারেটরকে কুপিয়ে আহত
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। হামলায় ওই বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করেছে তারা।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার সহকর্মীরা।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময়ে সমাজকল্যাণ বিভাগের নীচতলায় একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম চলছিল।
বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুস সবুর বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে মুখোশধারী ২০ থেকে ২৫ জন ধারালো অস্ত্র ও রড নিয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমাদের স্টাফ মিজানুর রহমান বাচ্চুর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর তারা দ্বিতীয় তলায় উঠে মিজানুর রহমান বাচ্চুকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। সেই সঙ্গে বিভাগের অফিসে তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুখোশধারীরা দুইটি টিভি, কম্পিউটারসহ আমার রুমের সকল চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। তারা সিসিটিভি রেকর্ড, মেশিন ও মূল কম্পিউটারের মেশিন নিয়ে যায়।’
তারা কেন হামলা চালিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘তারা কি উদ্দেশ্যে এসেছিল তা জানি না।’
একই উত্তর পাওয়া যায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়ার কাছ থেকেও।
তিনি বলেন, ‘কারা এবং কেন হামলা করেছে তা আমরা জানি না। আমরা কলেজের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রক্রিয়ায় আছি। পুলিশ তদন্ত করছে এবং এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আহত মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই মুখোশধারীরা কেন হামলা চালিয়েছে জানি না, কাউকে চিনতেও পারিনি।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে কলেজ বন্ধ থাকলেও ছাত্রদের বিভিন্ন কাগজপত্র প্রত্যয়নসহ অ্যাকাডেমিক কাজে সকালে কয়েক ঘণ্টা ডিপার্টমেন্ট খোলা রাখা হত বলে নিশ্চিত করেছেন সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুস সবুর।
Comments