বিপর্যস্ত দলকে জোড়া সেঞ্চুরিতে সিরিজ জেতালেন ম্যাক্সওয়েল-ক্যারি
ইনিংসের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারিয়ে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। পরে তা সামলে দারণ সেঞ্চুরিতে দলকে টানেন জনি বেয়ারস্টো, শেষটায় ক্রিস ওকসের ফিফটি তাদের নিয়ে যায় তিনশ ছাড়িয়ে। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই অবস্থা থেকে দুইশো রানের জুটিতে ম্যাচ জিতিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যালেক্স ক্যারি, সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনেই।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্যারি ১১৪ বলে ১০৬ আর ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে করেন ১০৮ রান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়া জিতে ২-১ ব্যবধানে।
৩০২ রান তাড়ায় নামা অ্যারন ফিঞ্চকে শুরুতেই আউট করেন ওকস। আগের দুই ম্যাচে জোফরা আর্চারকে সামলাতে না পারা ডেভিড ওয়ার্নার এবার শুরুতে টিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু টানতে পারেননি ইনিংস।
জো রুটের স্পিনে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে মার্কাস স্টয়নিসকে এলবিডব্লিউতে বিদায় করেন ওকস। চারে খেলা মারনাস লাবুশানে ২০ রান করে হয়েছেন রান আউট। অফ স্পিন দিয়ে মিচেল মার্শকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান রুট।
এরপরই শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল-ক্যারির ঘুরে দাঁড়ানো। কিপার ব্যাটসম্যান ক্যারি কিছুটা সময় নিয়ে খেলেছেন, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল ছিলেন তার মতই। আগ্রাসী মেজাজে রান রেটের চাকা রাখেন চাহিদামত। ৬ষ্ঠ উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২১২ রানের জুটি আনেন তারা। দলের জয় একরকম নিশ্চিত করে আউট হয়ে যান তারা। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স মিলে বাকি কাজ সারতে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে যাওয়া ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল আরও ভয়াবহ। ইনিংসের একদম প্রথম দুই বলেই উইকেট হারায় তারা। স্টার্কের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দেন জেসন রয়। অধিনায়ক রুট এসে ড্রাইভ করতে গিয়ে লাইন মিস করে কাটা পড়েন এলবিডব্লিওতে।
অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে নিয়ে এরপর জুটি পান বেয়ারস্টো। দুজনের জুটিতে ৬৭ আসার পর লেগ স্পিনার জাম্পার আঘাতে বিদায় মরগ্যানের। ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগে জাম্পার শিকার জস বাটলারও।
এই ধাক্কা ইংল্যান্ড টের পায়নি বেয়ারস্টো-স্যাম বিলিংসের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি পান তারা। আগ্রাসী মেজাজে খেলে রান বাড়ান বিলিংস। বেয়ারস্টো ধরে রাখেন দলের আশা।
৫৮ বলে ৫৭ করা বিলিংস পরে ফিরেছেন জাম্পার বলে রিভার্স স্যুইপে ক্যাচ দিয়ে। ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি করে বেয়ারস্টো বোল্ড হন কামিন্সের বলে। টেল এন্ডারদের নিয়ে এরপর ক্রিস ওকস ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান তিনশো পার করে।
তাদের নায়ক হওয়ার মঞ্চ পরে কড়ে নিয়ে উল্লাস করেছেন ম্যাক্সওয়েল-ক্যারি।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৪ ওভারে ৩০৫/৭ (ওয়ার্নার ২৪, ফিঞ্চ ১২, স্টয়নিস ৪, লাবুশেন ২০, মার্শ ২, ক্যারি ১০৬, ম্যাক্সওয়েল ১০৮, কামিন্স ৪*, স্টার্ক ১১*; ওকস ২/৪৬, আর্চার ১/৬০, উড ০/৪০, রুট ২/৪৬, কারান ০/৪০, রশিদ ১/৬৮)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী
Comments