লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে আবারও বন্যা

চতুর্থদফা বন্যার কবলে পড়েছেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নদী অঞ্চলের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো। রোপা আমন ও সবজির খেত এখন পানির নিচে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু স্থানে।
Lalmonirhat_Flood_17Sep20.jpg
চতুর্থদফা বন্যার কবলে পড়েছেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নদী অঞ্চলের বাসিন্দারা। ছবি: স্টার

চতুর্থদফা বন্যার কবলে পড়েছেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের নদী অঞ্চলের বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তলিয়ে গেছে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো। রোপা আমন ও সবজির খেত এখন পানির নিচে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন উঁচু স্থানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাটে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও কুড়িগ্রামে ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে আছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চর ফলিমারী গ্রামের নবির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত বন্যাগুলোর ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। এর মধ্যে চতুর্থ দফা বন্যা পরিস্থিতিতে আবারও বাড়ি-ঘর ছেড়ে সরকারি রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের তাহের আলী বলেন, ‘বাড়িতে কোমর সমান পানি উঠেছে। অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছেন সরকারি রাস্তায়। আমরা কোনো রকমে খাটের ওপর আছি।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অনবরত বৃষ্টিপাত হচ্ছে আর উজান থেকে পানি আসাও রয়েছে অব্যাহত রয়েছে। চতুর্থ দফায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

11h ago