বার্সার বিপক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন সেতিয়েন

বিনা রিলিজ ক্লজে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ না দিয়ে কাতালান ক্লাব ছাড়ার এক মাত্র উপায় ছিল মামলা করা। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি। ভালোবাসার ক্লাবের বিপক্ষে মামলা করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ কিকে সেতিয়েন তো আর মেসির মতো ঘরের ছেলে নন। তাকে ছাঁটাইয়ের কাগজপত্র ঠিকভাবে বুঝে পেতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন এ স্প্যানিশ কোচ।

ফ্রি ট্রান্সফারে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ না দিয়ে কাতালান ক্লাব ছাড়ার এক মাত্র উপায় ছিল মামলা করা। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি অধিনায়ক। ভালোবাসার ক্লাবের বিপক্ষে মামলা করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোচ কিকে সেতিয়েন তো আর মেসির মতো ঘরের ছেলে নন। তাই ছাঁটাইয়ের কাগজপত্র ঠিকভাবে বুঝে পেতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন এ স্প্যানিশ কোচ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গত ১৭ আগস্ট সেতিয়েনকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয় বার্সেলোনা। প্রকাশ্যে জানালেও বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তাকে অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ক্লাবটি। যে কারণে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন সেতিয়েন। কারণে কাগজে কলমে এখনও দলটির কোচ সেতিয়েনই। অথচ ক্লাবটি পরিচালনা করছেন নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান। বিষয়টি ভালো লাগার কোনো কারণও নেই সেতিয়েনের। এক মাসের বেশি সময় ধৈর্যও ধরেছেন। বারবার বিষয়টি সুরাহা করার অনুরোধ করলেও তার দাবি এক অর্থে আমলেই নিচ্ছে না ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই মামলা করতে যাচ্ছেন তিনি।

তবে সেতিয়েনকে কোনো কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিলেও, তার তিন সহকারী এদের সারাবিয়া, জন পাসকুয়া ও ফ্রান সোতোকে ন্যু ক্যাম্পে ভিন্ন দায়িত্ব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ক্লাবটি। কিন্তু সে কথাও রাখেনি তারা। যে কারণে চার জনই বার্সার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসের খবর অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে আগে ছাঁটাই করে দেওয়ার জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরো দাবী করেছেন সেতিয়েন। নিজের বিবৃতিতে সেতিয়েন লিখেছেন, ‘এক মাস নীরব থাকার পর এবং বার্সেলোনা বোর্ডকে বারবার অনুরোধ করার পরও আমরা গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল কোনো ঘোষণা পাইনি।’

আর ইচ্ছাকৃতভাবেই এমনটা করছেন বলেই মনে করছেন সেতিয়েন, ‘ব্যাপারটি এটাই স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, বোর্ড ১৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত স্বাক্ষরিত কর্মসংস্থান চুক্তি পূরণ করতে চাইছে না বোর্ড। আমার ক্ষেত্রে, ক্লাব এবং প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ১৭ আগস্ট আমার বরখাস্ত ঘোষণা করেছিলেন। তবে গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যা প্রায় এক মাস হয়ে গেছে, আমার বিষয়ে কোনো নিষ্পত্তি না করে ঘোষণাটি দিয়েছে।’

মামলার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘কোচিংয়ের বাকী কর্মীদের সঙ্গে গতকাল বলা হয়েছিল - যেটা অবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় - তাদের ক্লাবে 'অন্য পদে স্থানান্তরিত' হতে পারে জানিয়ে ছিল। উপরোক্ত সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করে আমরা আমাদের আইনজীবিদের হাতে চুক্তির সমাধান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। যে কারণে সংশ্লিষ্ট আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই সময়ে বার্সেলোনার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে এবং আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য এটি করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago