এবার 'ছাঁটাই' হতে পারেন বার্তোমেউ

ক্লাবটির সভাপতি তিনি। চাইলেই যে কাউকে ছাঁটাই করতে পারেন। করেছেনও অনেককেই। এবার তাকেই ছাঁটাই করার পথে রয়েছে বার্সেলোনা।
josep maria bartomeu
ছবি: এএফপি

ক্লাবটির সভাপতি তিনি। চাইলেই যে কাউকে ছাঁটাই করতে পারেন। করেছেনও অনেককেই। এবার তাকেই ছাঁটাই করার পথে রয়েছে বার্সেলোনার সমর্থকরা।

মজার ব্যাপার হলেও এটাই সত্যি। কারণ বার্সেলোনার গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো ক্লাব সভাপতির বিপক্ষে অনাস্থা থাকলে ক্লাবটির নিবন্ধিত সদস্যের ১৫ শতাংশ স্বাক্ষর করলেই সরে যেতে হবে তাকে। আর সে নিয়মের বেড়াজালে পড়তে যাচ্ছেন ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ।

এক বিবৃতিতে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বার্তোমেউর বিপক্ষে মোট ২০ হাজার ৬৮৭ জন অনাস্থা ভোট দিয়েছেন। এ পরিমাণ ভোট সঠিক কি-না এবং তা ক্লাব সভাপতির পদত্যাগের যথেষ্ট কি-না তা যাচাই করবে ক্লাবটি। সব ঠিক থাকলে খুব শীগগিরই পদত্যাগ করতে হবে বার্তোমেউকে। সমর্থকদের দৃষ্টিতে এটা ছাঁটাই-ই বটে।

অনাস্থা ভোটের তালিকা পাওয়ার পর নিজেদের বিবৃতিতে ক্লাবটি জানিয়েছে, 'একবার সেন্সর বোর্ডের একটি ভোট সেট আপ হয়ে গেলে, এটা অবশ্যই সর্বোচ্চ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যাচাই করা উচিত। দেখা উচিত সদস্য ও প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সমর্থনের সঙ্গে আবেদনটিতে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পূরণ করে কি-না।'

তবে তদন্ত করার পর কোথাও কোনো দুর্নীতির চিহ্ন পেলে তা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে বার্সা বোর্ড, 'সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও তদন্ত করতে পারে এবং পর্যাপ্ত স্বীকৃত না হলে কোনো ব্যালট পেপারকে অকার্যকরও করতে পারে বোর্ড।' 

আর সব কিছু ঠিক থাকলে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই নতুন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে বার্সা বোর্ড, 'যদি সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয় তাহলে আবেদনটি বৈধ বলে ঘোষণা করা হবে এবং বার্সেলোনা ডিরেক্টর বোর্ড একটি নির্বাচন আহ্বান জানাতে বাধ্য হবে, যা ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। আর যদি সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করে, তাহলে সেন্সর ভোটের আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।'

গত মৌসুমে ক্লাবটি শিরোপা শূন্য থাকার পর দলের অবস্থা ভালো না দেখে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন বার্সা খেলোয়াড়রা। আর তা পরই ক্লাবের সভাপতি বার্তোমেউর বিপক্ষে অনাস্থা ভোটের জন্য লড়াইয়ে নেমেছেন বার্সেলোনা সমর্থক গোষ্ঠীদের সম্মিলিত সংগঠন কোর ব্লুগ্রানা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে অগ্রগতি পায়নি। তবে লিওনেল মেসি দল ছাড়তে চাওয়ার ঘোষণায় ফের নড়েচড়ে বসে সংগঠনটি। অবশেষে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর সংগ্রহ করে জমা দিয়ে সক্ষম হয় তারা।

অবশ্য বার্তোমেউর বিপক্ষে এই প্রথম অনাস্থা ভোট করেনি তারা। এর আগে ২০১৭ সালেও তার বিপক্ষে অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী অগাস্তি বেনোদিত্ত। কিন্তু সেবার প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago