হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর জানাজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামের চার উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল রাতে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাত জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে হাটহাজারীতে চার জন এবং অন্য তিন উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়াও, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাটহাজারীতে চার প্লাটুন এবং ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় দুই প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম পাভেল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে গতকাল রাতেই বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। আজ সকাল থেকে হাটহাজারীসহ অন্য তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দেওয়া শুরু করেছেন তারা।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, আজ সকালে শাহ আহমদ শফীর মরদেহ হাটহাজারী মাদরাসা নামে পরিচিত আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন হাজারো মানুষ। বর্তমানে সেখানে প্রায় লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
গত বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদরাসায় ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। দাবির মুখে ওইদিন রাতে আহমদ শফীর ছেলে ও মাদরাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানীকে প্রত্যাহার করা হয়। পর দিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মাদরাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রদের বিক্ষোভ বন্ধ না হলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক আহমদ শফী নিজেই তার পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
এরপর শফী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বিকালে তাকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার থেকেই হাটহাজারী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
Comments