‘কিছু সময়ের জন্যে হলেও ভারতের মুখে হাসি ফোটাবে আইপিএল’
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশগুলোর তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ভারতের নাম। বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাবে সেখানকার জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা; বিরাজ করছে আতঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কিছু সময়ের জন্যে হলেও ভারতবাসীর মুখে হাসি ফোটাবে বলে মনে করেন দেশটির খ্যাতনামা ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরের পর্দা উঠছে শনিবার। আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতাটির সবচেয়ে সফল দুটি দল। আবুধাবিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যকার লড়াইটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত কলামে হার্শা জানিয়েছেন, এবারের আইপিএল নিয়ে তিনি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আইপিএল! এটা অনেকটা এপ্রিল মাসে সোয়েটার বিক্রির মতো! জানুয়ারি মাসে আম খাওয়ার মতো! তবে নির্ধারিত মৌসুমে হোক বা না হোক, সেটা কোনো ব্যাপার না। এটা হবে এমন একটা আইপিএল, যেখানে অদ্ভুতুড়ে আর অবিশ্বাস্য সব শট দেখতে পাওয়া যাবে এবং চাপের মুখে নিপুণ দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যাবে। এটা হবে এমন একটা আইপিএল, যেখানে বোলাররা ব্যাটসম্যানদের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে এবং সমান মর্যাদা দাবি করবে।... ভক্তরা উদযাপন করবে এবং শোক করবে; তাদের মুখ হাঁ হয়ে যাবে এবং চোখে থাকবে জল।’
ভারত থেকে আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আইপিএল। নির্ধারিত সূচিও গেছে পাল্টে। পাশাপাশি এবার নিয়মিত জাঁকজমক আর চাকচিক্যেরও দেখা মিলবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায়।
তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাঝে আইপিএলকে ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য স্বস্তির সুবাতাস হিসেবে দেখছেন হার্শা, ‘গত ছয়টি মাস অনেকের জন্যই তাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন ছয়টি মাস ছিল। অনিশ্চয়তা ঘিরে ফেলেছে তাদেরকে, আয় হ্রাস পেয়েছে, প্রিয়জন হারিয়ে গেছে।... ভারতের এখন একটু হাসির প্রয়োজন, একটু স্বস্তির প্রয়োজন।... আইপিএল দুনিয়াকে পাল্টে দিতে পারবে না। এটা নিছকই একটি ক্রীড়া আসর, যা ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করতে পারবে না। কিন্তু এটা হাসি নিয়ে আসতে পারবে। তিন ঘণ্টার জন্য কিংবা কখনও কখনও আরও বেশি সময়ের জন্য এটা আপনাকে এই খেলার অননুমেয় বৈশিষ্ট্য ও আনন্দের মধ্যে মগ্ন হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবে। এটা আপনাকে দক্ষতা ও ন্যায্য লড়াইয়ের একটি দুনিয়ার ডুবে যেতে দেবে।’
উল্লেখ্য, জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৭ জন, মারা গেছেন ৮৪ হাজার ৩৭২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫৫১ জন।
Comments