দেপসাংয়ে ভারতীয় সেনা টহলে চীনের বাধা

লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং সো-চুষল ও অন্যান্য অঞ্চলে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন গুরুত্বপূর্ণ দেপসাং অঞ্চল থেকে ভারতের মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
দেপসাং অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং সো-চুষল ও অন্যান্য অঞ্চলে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন গুরুত্বপূর্ণ দেপসাং অঞ্চল থেকে ভারতের মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেপসাং সমভূমিতে ভারতীয় সেনাদের টহলে বাধা দিচ্ছে চীন। সেখানে চীনের দুটি ব্রিগেড অবস্থান নিয়েছে বলেও জানা গেছে। তারা ১০ থেকে ১৩ নম্বর পেট্রোল পয়েন্টে ভারতের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলের মাঝে একটি সমতল পৃষ্ঠ হওয়ায় সামরিক আক্রমণে ব্যবহারের উপযোগী। যে কারণে দেপসাং সমভূমি কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সমতলভূমি কারাকোরাম পর্বতমালায় ভারতের উত্তর প্রান্তে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, লাইন অব পেট্রোলিং ও এলএসি’র মধ্যে প্রায় ৯৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা গত ১০ থেকে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনা সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পিএলএ সেনারা দেপসাংয়ের ‘বটলনেক’ বা ‘ওয়াই-জংশন’ এলাকার কাছে ঘাঁটি গড়েছে। যার অবস্থান ভারতের দাবি করা ভূ-খণ্ডের প্রায় ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে যখনই কোনো ভারতীয় টহল দল সেখানে গিয়েছে তখনই চীনা সেনারা বাধা দিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা প্রবেশ করার ক্ষমতা হারাইনি। আমরা চাইলে আগামীকালই সেখানে যেতে পারি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনই আরও একটি উত্তেজনা তৈরি করতে চায় না।’

চীন বটলনেকের পশ্চিম অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করেছে। যার প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে ভারতের একটি ঘাঁটি আছে— ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন তিনি।

দেপসাং সীমান্তের এলএসিজুড়ে এর গভীর অঞ্চলে ট্যাংক, আর্টিলারি বন্দুকসহ কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দুই প্রতিবেশী দেশ। ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় দেপসাং সমভূমি দখলে নেয় চীন। ২০১৩ সালের এপ্রিল-মে মাসে দেপসাং ভ্যালিতে চীন প্রায় তিন সপ্তাহ সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল।

পিএলএর সেনাবাহিনী সে সময় এলএসি পার হয়ে ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবেশ করে। ২১ দিনের কূটনৈতিক আলোচনার পরে সেই উত্তেজনার সমাধান হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

6m ago