শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ৪টি ছোট ফেরি চলছে

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ১৪টি ফেরির মধ্যে চারটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে দুইটি ও মাদারিপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে দুইটি ফেরি চালু হয়। এরপর থেকেই ফেরিগুলো পারাপার শুরু করেছে। ফেরি চালাতে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। শিমুলিয়া ঘাটে ৬০টির মতো যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনটি ঘাট সচল আছে। চারটি ফেরি যানবাহন করছে। ফেরিগুলো হলো— কাকলি, কিশোরি, কুমিল্লা, ফরিদপুর। চায়না চ্যানেলের কয়েকটি স্থানে পানি কমে যাওয়ায় ক্যামেলিয়া ফেরিটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এর জন্য একটি ফেরি সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। রো রো ফেরি চালানোর জন্য এখনো উপযুক্ত সময় আসেনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, আজ দুপুর ১টায় শিমুলিয়াঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬০টি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পর ৮৫টির মতো যানবাহন পারাপার হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, সকাল থেকে একটি ফেরি কম চলছে।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে টানা আটদিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল এই নৌরুটে ফেরি চলাচল। ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক তিনটি ফেরি ও ১২ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে। ১৩ সেপ্টেম্বর পাঁচটি ফেরি চলে এবং রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ও ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ফেরি পালের চরের চ্যানেল দিয়ে চলে। ১৭ সেপ্টেম্বর পুরোপুরি বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে পরীক্ষামূলক দুইটি ফেরি আসা-যাওয়া করে চায়না চ্যানেল দিয়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর শুধু দিনে পাঁচটি ছোট ফেরি ও ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচটি ফেরি চলাচল করে।
Comments