কমিটি পুনর্গঠনে শুটিংয়ে সুদিনের আশা

মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ারকে সভাপতি করে রোববার অ্যাডহক কমিটি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ

মঙ্গলবার উৎসবমুখর আমেজ নিয়ে ২০ শুটার এলেন গুলশান শুটিং কমপ্লেক্সে। বড় কিছু অর্জন করে ফেলেছেন এমন নয়। বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন (বিএসএসএফ) এর  নতুন অ্যাডহক কমিটিকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন তারা। 

মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ারকে সভাপতি করে রোববার অ্যাডহক কমিটি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাতেই আশাবাদি হয়ে উঠছেন দেশের শ্যুটাররয়া।

কমনওয়েলথে দুইবার রৌপ্য জয়ী শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকির কথাতেই মিলল সেই সুর,   ‘আমি আর কি বলব? আপনারা শুটারদের চেহারায় খুশির ঝিলিক দেখেই উত্তর খুঁজে নেন।’

‘কর্মকর্তারা যখন দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকেন, আমরা স্বভাবতই মানসিকভাবে থাকি। এখন আমরা নির্ভার হয়ে অনুশীলন করতে পারব। মহামারির কারণে অনেকদিন থেকে আমরা অনুশীলনে নাই। আমাদের রাইফেলও আই। নতুন কমিটি বলেছে সমস্যার সমাধান করে দেবে।’

দেশের অন্যতম সেরা এই শুটার বলেন, তাদের ভালোবাসার জায়গা ফিরে পেতে তারা মরিয়া, ‘আমাদের রাইফেল আমাদের হৃদয়। শুটিঙয়ের বদলে অন্য কিছু দিয়ে কেউ অভাব মেটাতে পারবে না। আমরা খেলি কারণ খেলাটা আমরা ভালোবাসি। রাইফেল থেকে দূরে থাকা তাই কষ্টের। সব ঠিক হয়ে যাবে যদি আবার রাইফেল ব্যবহারের অনুমতি মেলে।’

সেজন্য আশাবাদি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান বাকি, ‘আমরা যখন শুটিংয়ে ছিলাম, তখন সভাপতি আমাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। বললেন, গতকালই তিনি লোক পাঠিয়েছেন, আজ-কালকের মধ্যে অস্ত্রগুলো ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

‘গতকাল মহাসচিব আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। বিদেশি কোচের ৪-৫ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে সম্ভবত দুই জনকেই বেছে নেওয়া হবে।’

কার্যকরী পরিষদের বৈঠক শেষে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সভাপতি জানান দ্রুতই সব সমাধান করতে যাচ্ছেন তিনি, ‘আমি জানি অস্ত্র নিয়ে সমস্যা আছে। যেগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। আমরা আশা করছি দ্রুতই শুটাররা তাদের রাইফেল ফেরত পাবে।’

শুটিংয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Foreign investors returning to stock market

After a long time, foreign investors are showing renewed interest in buying shares of listed companies in Bangladesh as they hope good governance will return to the local stock market following the recent political changeover.

11h ago