ধোনি কেন এত পরে, ব্যাখ্যা চেন্নাই কোচ ফ্লেমিংয়ের

MS Dhoni
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

২১৬ রান তাড়া করতে হবে, বড় শট মারার সামর্থ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞ হাতের মুন্সিয়ানাও এসব পরিস্থিতি ভীষণ দরকার। কিন্তু অতো বড় লক্ষ্য তাড়াতেও স্যাম কারান, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, কেদার যাদবদেরও পরে নামলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নেমেই মারতে পারলেন না। শেষ ওভারে যখন টানা তিন ছক্কা মারেন, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক কেন এত পরে নামেন, এই প্রশ্ন তাই বড় হয়েছে। একটা ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং।

মঙ্গলবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোলারদের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের রাত। রানেভরা উইকেট আর এক পাশের ছোট বাউন্ডারির কারণে অনেকগুলো বল তো স্টেডিয়ামের বাইরেই ছিটকে গেছে।

অমন ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের ২১৬ রান তাড়ায় গিয়ে ২০০ রানে থেমেছে চেন্নাই। স্কোর দেখে মনে হতে পারে খেলায় বুঝি বেশ রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি ছিল! কিন্তু আসলে রান তাড়ায় কখনই জেতার আশা বড় করতে পারেনি চেন্নাই।

ফাফ দু প্লেসি ঝড় তুলতে সময় নিয়েছেন অনেক। ধোনি নেমেছেনই ১৪তম ওভারে। তখন দলের জিততে দরকার ৩৮ বলে ১০৩ রান!

এই অবস্থায় নেমেও ঝটপট মারার দিকে যাননি ধোনি। আরেক পাশে দু প্লেসি চালিয়ে খেললেও চাহিদা মেটেনি। শেষ চার বলে দরকার দাঁড়ায় ৩৬। তখন টানা তিন ছয় কেবল ধোনির স্ট্রাইকরেটই বাড়িয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে, ধোনি আরও আগে নামলে ফল ভিন্ন হতে পারত কিনা। ম্যাচ শেষে এই নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের যুক্তি দিয়েছেন ফ্লেমিং, ‘ইনিংস শেষ করার জন্য বিশেষজ্ঞ ধোনি, সব সময়ই। কারানকে পাঠানো হয়েছিল আমাদের দ্রুত কিছু রান আনার জন্য। তার মারার সামর্থ্য অনেক ভাল। ঋতুরাজের প্রথম ম্যাচ ছিল। আমরা চেয়েছি তাকে উপরে নামিয়ে আগ্রাসী মেজাজে খেলাতে। আমাদের লম্বা ব্যাটিং অর্ডার আছে তাই চেয়েছি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেটার যথাযথ ব্যবহার করতে।’

‘এই প্রশ্ন প্রতিবছরই হয় (ধোনি কেন আগে নয়)। সে ১২ ওভারে এসেছে (আসলে ১৪তম ওভারে)। তখন তো বেশ ভালো সময়। সে লম্বা সময় পর খেলায় এসেছে তাই আমরা অন্যরকম দেখেছি।  যাইহোক ফাফ দু প্লেসি ছন্দে আছে। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় নই।’

পরিস্থিতি দাবি থাকলেও পরে নামার কারণ হিসেবে লম্বা বিরতিকে এনেছেন ধোনিও, ‘অনেকদিন আমি ব্যাট করি না। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন তো সাহায্য করে না। আর আমরা ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলাম। স্যামকে সুযোগ দিতে চেয়েছি। অন্যদের সুযোগ দিতে চেয়েছি। যেটা কাজে লাগেনি। তবে আপনাকে আপনার শক্তির উপর আস্থা রাখতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of ride-sharing drivers

On the bustling streets of Dhaka, where traffic moves like molasses and the air hangs heavy with exhaust fumes, a new breed of urban warriors has emerged.

13h ago