নদী ভাঙনের মুখে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/daulatdfia_ghat_under_erosion_1.jpg?itok=u8TW0r4M×tamp=1600861856)
তীব্র স্রোতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত রবিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে তিন নম্বর ফেরিঘাট এবং পাশের সিদ্দিক কাজীরপাড়া গ্রাম।
বালুর বস্তা ফেলে ফেরিঘাট রক্ষার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাট শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘পদ্মায় পানির প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণিপাকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদীর পারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট আধুনিকায়নের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে চার কিলোমিটার উজানে এবং দুই কিলোমিটার ভাটিপথে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বাঁধটি নির্মিত হলে আশা করছি, ভাঙনের হাত থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতবছরের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ব্যাপকভাবে নদীভাঙন শুরু হয়। টানা ১৮ দিনের ভাঙনে ১, ২ ও ৩ নম্বর ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। ফেরিঘাটের পাশাপাশি বিলীন হয় পার্শ্ববর্তী সিদ্দিক কাজীরপাড়া ও মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক বসতবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বিাইডব্লিউটিএ যৌথভাবে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। তিন নম্বর ঘাটটি চালু করা সম্ভব হলেও ১ ও ২ নম্বর ঘাট দুটি এখনও বন্ধ রয়েছে। এবারও ওই এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে ঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
Comments