বোলিংয়ে অস্বস্তি টের পাচ্ছেন সাইফুদ্দিন

গত বছর বিশ্বকাপের পর পর পীঠের চোটে পড়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। প্রায় ছয় মাস থাকতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেরার পর করোনাভাইরাসের কারণে আবার লম্বা বিরতির ধাক্কায় পড়েছেন তিনি। এতটা সময় খেলা, অনুশীলন কিছুই না থাকায় স্কিল ঝালাইয়ের সুযোগও মেলেনি তার। দুদিন ধরে মিরপুরে বল করতে গিয়ে তাই অস্বস্তি টের পাচ্ছেন এই পেস অলরাউন্ডার।
করোনায় খেলা বন্ধ হওয়ার পর নিজ জেলা ফেনিতে ফিরে গিয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। আর সবার মতো শুরুর দিকটায় গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে তাকেও। ধীরে ধীরে শুরু করেন ফিটনেস ট্রেনিং। পরে স্থানীয়ভাবেই নিজে উদ্যোগ নিয়ে চালিয়েছেন অনুশীলন।
তবে সেসব ব্যবস্থায় কেবল ব্যাটিংটাই করতে পেরেছেন তিনি। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মিরপুরে স্কিল ট্রেনিং শুরুর তারিখ দিলে ঢাকায় আসেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু মিরপুর একাডেমিতে তাদের গ্রুপের দুএকজনের করোনা উপসর্গ থাকায় প্রথমে কয়েকদিন আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে তাকে। আইসোলেশনে থাকা অবস্থাতেই অবশ্য একাডেমি মাঠে হালকা অনুশীলন চালিয়েছেন।
বুধবার আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়ে মূল মাঠে বল করেছেন সাইফুদ্দিন। পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গেও সরাসরি কাজের সুযোগ মিলেছে তার।
কিন্তু নিজের অনুভব করছেন করোনার কারণে স্কিলের দিক থেকে বাকিদের থেকে পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি। বল করতে গেলেই টের পাচ্ছেন অস্বস্তি, ‘মহামারি করোনাকালীন সময়ে আমার জন্য কঠিন ছিল। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি, কিন্তু স্কিলের দিক থেকে অন্যদের থেকে আমি পিছিয়ে গিয়েছি। ব্যাটিং যাইহোক পাকার মধ্যে করেছি, কিন্তু বোলিং একদম করতে পারিনি। আজও বল করলাম, গত দুদিনও বল করলাম। কিন্তু আমার যে ছন্দটা সেটা পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করছি। তারপরও আশাবাদি আরও কদিন যদি বল করতে পারি, হয়ত আগের ছন্দে ফিরতে পারব।’
ব্যাটিংয়ে কোন সমস্যা না থাকায় বোলিং নিয়েই যত চিন্তা তার। আপাতত এই পেসার চেষ্টায় আছেন ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার, ‘যেহেতু বড় একটা ইনজুরি আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। এই চোটের কারণে ছয় মাস বাইরে ছিলাম। ফিট হয়ে একটা দুইটা ম্যাচ খেলার পর আবার করোনার কারণে ছয় মাস খেলতে পারিনি। আমার জন্য একটু কঠিন, কারণ এক বছর আমি মাঠের বাইরে।’
‘যেহেতু সামনে খেলা আছে। চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস আনা যায়।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত হলেও এখনো টেস্ট খেলা হয়নি সাইফুদ্দিনের। শ্রীলঙ্কা সফর যদি হয়, সেখানে তিন টেস্টের সিরিজের ভাবনায় আছেন তিনিও। আর সবার মতই ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে খেলতে মুখিয়ে তিনি। সেজন্য স্কিলের ঘাটতি পূরণ নিয়েই বড় ভাবনা তার মাথায়, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেটার হওয়া, আমিও ব্যতিক্রম না। চেষ্টা থাকবে যদি সুযোগ পাই ভাল কিছু করা। সেইসঙ্গে নিজের ফিটনেস ঠিক রাখা, স্কিলের উন্নতি করা। কারণ আমি আমার স্কিল নিয়ে চিন্তিত। কারণ ছয়/সাত মাস ধরে ব্যাটিং-বোলিং করতে পারিনি।’
Comments