চার ম্যাচ নিষিদ্ধ দি মারিয়া

দেরিতে হলেও আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের শাস্তি পাওয়াটা একরকম অনুমিতই ছিল।
angel di maria
ছবি: রয়টার্স

আরও অনেকের মতো আনহেল দি মারিয়াও সেদিন মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি। তার আচরণও ছিল না নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। দেরিতে হলেও আর্জেন্টাইন উইঙ্গারের শাস্তি পাওয়াটা একরকম অনুমিতই ছিল।

কয়েক দিন আগে ফরাসি লিগ ওয়ানে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ও অলিম্পিক মার্সেইয়ের ম্যাচে মারামারির ঘটনার জেরে দি মারিয়াকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফরাসি লিগ কর্তৃপক্ষ।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে মার্সেইয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুদলের খেলোয়াড়রা। ফলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারসহ পিএসজির তিন আর মার্সেইয়ের দুই ফুটবলারকে দেখানো হয় লাল কার্ড। পরবর্তীতে পাঁচ ফুটবলারের সবাইকে এক থেকে ছয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

ম্যাচ শেষে মার্সেই কোচ আন্দ্রে ভিয়াস বোয়াস অবশ্য জানিয়েছিলেন, মারামারির ঘটনার আগে তার দলের ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেজকে থুতু মেরেছেন দি মারিয়া। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার লিগের শৃঙ্খলা কমিটি ডেকে পাঠিয়েছিল ৩২ বছর বয়সী তারকাকে। এরপর চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এসেছে। কিন্তু শাস্তি দেওয়ার কারণ হিসেবে থুতু দেওয়া বা অন্য কোনো কিছুর উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।

দি মারিয়ার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী মঙ্গলবার থেকে। ফলে আগামী রবিবার রাসের বিপক্ষে খেলতে কোনো বাধা নেই তার। এরপর অঁজি, নিম, দিজোঁ ও নঁতের বিপক্ষে অবশ্য খেলতে পারবেন না তিনি।

যে আলভারোকে থুতু দেওয়ার অভিযোগ দি মারিয়ার বিরুদ্ধে, তার মাথার পেছনেই আঘাত করে সেদিন সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন নেইমার। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই অবশ্য ফোর্থ অফিসিয়ালের কাছে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সেলেসাও ফরোয়ার্ড। পরে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলভারো তাকে ‘বানর’ বলেছেন।

ফরাসি লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলভারোর বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া নেইমারের তোলা অভিযোগের তদন্ত চলছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that a 33-year courtship has soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

59m ago