বারবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা আর সুরক্ষা বলয় অস্বস্তি দিচ্ছে শান্তকে
দলীয় স্কিল অনুশীলন শুরুর পর থেকেই জৈব সুরক্ষিত বলয়ে প্রবেশ করেছেন ক্রিকেটাররা। একাধিকবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা, বাসা ছেড়ে হোটেলে উঠা এবং নির্দিষ্ট জোনের বাইরে না যাওয়ার নিয়মনীতি বেশ অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর।
শ্রীলঙ্কা সফরের সম্ভাবনা থাকায় গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ ক্রিকেটারকে ক্যাম্পে ডেকে শুরু হয় জাতীয় দলের দলীয় কার্যক্রম। তবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন এক বাস্তবতার মধ্য দিয়ে চলছেন ক্রিকেটাররা।
সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ, কোন উপসর্গ না থাকা এবং উপসর্গ আছে এমন কারো সংস্পর্শে না থাকা ক্রিকেটাররাই অনুমোদন পান দলীয় অনুশীলনে।
প্রথম দুদিন তাই অনুশীলন করেছিলেন ১৬ ক্রিকেটার। ঢাকার বাইরে থেকে আসা নাজমুল হোসেন শান্তসহ ১০ ক্রিকেটারকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েও থাকতে হয়েছে আইসোলেশনে। কারণ তাদের আশেপাশে থাকা দুএকজনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এরমধ্যে আবু জায়েদ রাহি কোভিড-১৯ পজিটিভও হয়েছে। শান্তদের কজনকে দিতে হয়েছে তাই বাড়তি আরও একটি করোনা পরীক্ষা।
করোনা পরীক্ষায় উৎরে বুধবার থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেন আরও ৮ জন। এই চলমান পরিস্থিতি তাই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শান্তকে দিচ্ছে অস্বস্তি, ‘এটা অবশ্য অনেক কঠিন, টেস্টের কথা বলবো যে করোনা টেস্ট দুই দিন পর পর এই জিনিসটা একটু অস্বস্তিকর লাগে। নাকের ভেতর কিট দেওয়া, পরীক্ষা করা এ জিনিসটা আমার জন্য অস্বস্তিকর।’
করোনাপরীক্ষার মতই বাকি দুনিয়ার থেকে আলাদা থেকে অনুশীলন চালানোর বাস্তবতাও এখনো মানিয়ে উঠতে পারেননি তিনি, ‘কোয়ারেন্টাইনে থাকতে কারোরই ভালো লাগেনা। এত নিরাপত্তার মধ্যে থাকা ভালো অনুভব করিনা। কিন্তু আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছে এবং এভাবেই অনুশীলন করতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে। মানসিকভাবে এভাবে নিয়ে নিয়েছি। ধীরে ধীরে উপভোগ করছি।’
শ্রীলঙ্কা সফর হলে শান্তদের এই পরিস্থিতিতে থাকতে হবে আরও লম্বা সময়। যেতে হবে আরও একাধিক করোনাপরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
Comments