বগুড়া-গাইবান্ধায় নদীর পানি বাড়ছে
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরা পাড়া পয়েন্টে আজ শুক্রবার সকাল থেকে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে যমুনার চর এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, বগুড়া ও গাইবান্ধার প্রধান নদ-নদীর পানি গত এক সপ্তাহ ধরে ওঠা-নামা করছে। তবে, আগামী দুই দিন পানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবারী চরের আসর আলী (৪৫) বলেন, ‘গত ৪-৫ ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। গত দুইদিন হলো পানি আমাদের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেছে। এখন হাঁটুসমান পানি। এবার নিয়ে এই বছর চার বার আমরা বন্যার কবলে পড়লাম।’
বগুড়ায় বাঙালি নদীর পানিও গত একসপ্তাহ ধরে বাড়ছে। আজ সকাল ৬টা থেকে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যমুনার পানি গত এক সপ্তাহ ধরে ওঠা-নামা করছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তবে, এবার বড় কোনো বন্যার সম্ভাবনা নেই।’
অন্যদিকে, গাইবান্ধাতেও প্রায় সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। আজ সকাল ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং করতোয়া নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও অন্য প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগামী দুই দিন পানি আরও কিছুটা বাড়বে। তবে বড় বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’
Comments