‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ দেশের গানের স্রষ্টার কথা মনে আছে!

মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য গান ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো’, ‘মাগো ভাবনা কেন’ শিরোনামের গানের সুরকার হলেন সমর দাস। ১৯৫৬ সালে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’ এর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি। কালজয়ী এই সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সমর দাসের প্রয়াণের দিন আজ।
সমর দাস। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য গান ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো’, ‘মাগো ভাবনা কেন’ শিরোনামের গানের সুরকার হলেন সমর দাস। ১৯৫৬ সালে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’ এর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি। কালজয়ী এই সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সমর দাসের প্রয়াণের দিন আজ।

২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য এই সংগীত পরিচালক। কিংবদন্তী এই সুরকারের কথা কী মনে আছে আমাদের?

সমর দাসের জন্ম ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে। ১৯৪৫ সালে ১৬ বছর বয়সে তদানীন্তন অল ইন্ডিয়া রেডিও’র ঢাকা কেন্দ্রে বাঁশি বাজানোর মধ্য দিয়ে সংগীত জীবনের সূচনা। তরুণ বয়সেই গিটার ও পিয়ানোতে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫০ এর দশকে সমর দাস কলকাতায় হিজ মাস্টার্স ভয়েস কোম্পানিতে কাজ করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি স্বাধীনতার পূর্ব সময় পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।

রেডিও-টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের বহু গানে তিনি সুর-সংগীত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর থেকে পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও প্রধান পরিচালক ছিলেন তিনি।

১৯৫৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন সমর দাস। এরপর মাটির পাহাড়, আসিয়া, গৌরী, জিঘাংসা, রাজা এলো শহরে, নবারুণ, ধীরে বহে মেঘনা, দুই বউসহ অনেক ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন।

সমর দাস ১৯৮৫ ও ১৯৯৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমসের সূচনা সংগীতের  সুরারোপ করেছিলেন।

বাংলাদেশ ‘সংগীত পরিষদ’ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই তিনি সদস্য ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবেরও সদস্য ছিলেন।

সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়া, অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন এই সুর-স্রষ্টা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago