নোয়াখালীতে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, প্রবাসী স্বামী আটক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত গৃহবধূর নাম নূরনাহার পান্না (৩০)।

গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড চরপার্বতী গ্রামে খালেক ছিমারের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী গ্রামে প্রবাসী আমিরুল ইসলামের স্ত্রী নুরনাহার পান্না শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় খালেক ছিমারের বাড়ির পুকুর পাড়ে যান। আনুমানিক রাত ৮টা দিকে পান্নাকে পুকুরে পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির এক ব্যক্তি। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে পিঠে একটি ছুরি গাঁথা অবস্থায় পুকুর থেকে পান্নার মরদেহ উদ্ধার করে।

একাধিক সূত্র জানায়, গত দুই মাস আগে পান্না একই এলাকার বাবুলের (৩১) সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারা নারায়ণগঞ্জ গিয়ে পাঁচদিন থাকার পর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন তাকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তিনি স্বামী ও তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

নিহতের বাবা জাফর উল্লাহ বলেন, ‘সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয়ে পুকুরের দিকে যায় পান্না। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির এক ব্যক্তির চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে পুকুরের মধ্যে পান্নার মরদেহ দেখতে পায়। কে বা কারা পান্নাকে হত্যা করেছে, তা আমি বলতে পারছি না।’

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।’

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। নিহত গৃহবধূর স্বামী এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খুলছেন না এবং পুলিশকে কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতাও করছেন না। স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

55m ago