১৯ মিনিটেই সুয়ারেজের ইতিহাস
তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বাতিলের খাতায়। অনেকটা দুর্ব্যবহার পেয়েই বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছে তাকে। তাই বিদায় বেলায় কেঁদেই ন্যু ক্যাম্প ছেড়েছিলেন ক্লাবটির ইতিহাসের তৃতীয় সেরা গোলদাতা। কিন্তু তার ধার যে এখনও কমেনি তা অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে নিজের অভিষেক ম্যাচেই প্রমাণ করে দিলেন। গ্রানাদার বিপক্ষে এদিন ম্যাচের মূল নায়কই লুইস সুয়ারেজ। অথচ মাত্র ১৯ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
ম্যাচের ৭০তম মিনিটে দিয়াগো কস্তার জায়গায় মাঠে নামেন সুয়ারেজ। দুই মিনিট পরই দলের চতুর্থ গোলটি বানিয়ে দেন তিনি। এরপর নিজে করলেন আরও দুই গোল। তাতে অ্যাতলেতিকোর রেকর্ড বইয়ে কিছুটা ওলটপালট করে ফেলেন তিনি। গড়েন একাধিক নতুন রেকর্ড। অথচ মাত্র দুই দিন হয় ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন এ উরুগুইয়ান।
একবিংশ শতাব্দিতে লা লিগায় প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ম্যাচে জোড়া গোল করেন সুয়ারেজ। পাশাপাশি অ্যাতলেতিকোর হয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে অভিষেকেই জোড়া গোল পেলেন এ ফরোয়ার্ড।
মূলত একজন ফরোয়ার্ড সুয়ারেজ। তবে নিঃস্বার্থভাবে নিজে শট না নিয়ে সতীর্থদের পাস দেওয়ায় বেশ নাম রয়েছে তার। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে লা লিগার ম্যাচেই ৭৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন সুয়ারেজ। সবমিলিয়ে ১১৬টি। এরমধ্যে এক লিওনেল মেসিকেই তিনি ৩৯টি গোলে সহায়তা করেছেন। মেসিকে করা সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট সংখ্যা এটাই। সেই সুয়ারেজ অ্যাটলেটিকোতে নিজের শুরুটা করেন অ্যাসিস্ট দিয়েই।
৭৩তম মিনিটে সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে মার্কোস লোরেন্তেকে নিখুঁত এক পাস দেন সুয়ারেজ। বল ধরে জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। এরপর ৮৫তম নিজেই করলেন গোল। ডান প্রান্ত থেকে লোরেন্তের ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান সুয়ারেজ। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ভিতোলোর কাটব্যাক থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। যদিও প্রথম দফায় তার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি তার।
ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে তাই এদিন বিশাল জয় পেতেছে অ্যাতলেতিকো। গ্রানাদাকে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লিগ শুরু করল তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে খেলার কারণে বাড়তি বিশ্রাম পেয়েছিল দলটি। তাই রোববারই প্রথম মাঠে নামে দলটি। আর প্রথম ম্যাচেই সুয়ারেজের নৈপুণ্যে উড়ন্ত জয়।
Comments