টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর পথে বিসিবি

শ্রীলঙ্কা সরকারের কড়া বিধিনিষেধের কারণে আপাতত সে দেশটিতে সফরের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর তাই এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করতে চায় তারা। স্থানীয় ক্রিকেটারদের তিন-চারটি ভাগ করে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ফাইল ছবি: বিসিবি

শ্রীলঙ্কা সরকারের কড়া বিধিনিষেধের কারণে আপাতত সে দেশটিতে সফরের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর তাই এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট চালু করতে চায় তারা। স্থানীয় ক্রিকেটারদের তিন-চারটি ভাগ করে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার বিসিবি কার্যালয়ের সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আসলে করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের দেশে একেবারে ভালো হয়ে যায়নি যে আমরা এখনই সব শুরু করতে পারবো। তবে আমরা খেলা (ক্রিকেট) শুরু করছি। আপাতত আমাদের এখন ক্যাম্প তো চলছেই। আবার শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। এরপর আবার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওরা তিনটি। প্রস্তুতি ম্যাচের পর পরই আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করতে যাচ্ছি।’

আর নিয়মে আসর হবে তারও কিছু ধারণা দিয়েছেন পাপন, ‘আমরা চিন্তাভাবনা করছি যে পাঁচ-ছয়টি দল নিয়ে প্রথমে খেলার জন্য। ছয়টি দল হলে ৯০ জন খেলোয়াড়। আবার এমনও হতে পারে আমাদের জাতীয় দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৯ ওদেরকে নিয়ে আমরা তিন-চারটি দল বানিয়ে ফেলতে পারি। এদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হতে পারে, কিংবা ওদের মধ্যে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলাম। যেখানে বিসিবি স্পন্সর থাকবে। এই দুটির একটি আমরা করে ফেলবো।’

ক্রিকেটাররা অবশ্য বসে নেই। চলছে অনুশীলন ক্যাম্প। তাও বাকি রয়েছে আরও দুই সপ্তাহের মতো। এরপর নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ। তাই ঠিক কবে নাগাদ এ আসর শুরু হবে তা জানাতে পারেননি বিসিবি সভাপতি। তবে এর মধ্যে নিয়মিত ঘরোয়া লিগ (প্রিমিয়ার লিগ, বিসিএল, এনসিএল) আয়োজন করার বিষয়েও ভাবছে বিসিবি। তবে প্রস্তাবিত আসর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই জানান পাপন, 'এখন পর্যন্ত যা বুঝতে পারছি টি-টোয়েন্টিই হবে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের যে লিগ, প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী, প্রিমিয়ার লিগ যা যা বাকি আছে সেগুলো শেষ করে ফেলা হবে। এটার প্রস্তুতির জন্যই একটু সময় নিচ্ছি।'

তবে মূল আলোচনা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ এখনও করোনাভাইরাসের প্রভাব রয়ে গেছে বাংলাদেশে। আর এরজন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে ক্লাবগুলোকে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন পাপন, 'খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে আমি বলেছি ক্লাবগুলোকে ডাকতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিতে। আমাদের কাছে যদি মনে হয় সেই পরিকল্পনা মোটামুটি সন্তোষজনক হয়, তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দিব।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago