সিলেটে নাটক-গান-কবিতায় ধর্ষণের প্রতিবাদ
সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি) ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার শনিবার থেকে টানা প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছেন সিলেটের সর্বস্তরের মানুষ। এ প্রতিবাদী কর্মসূচিতে পিছিয়ে নেই সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা।
বিবৃতি বা ছাত্রাবাসের সামনে কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে নয়—বরং সংস্কৃতিকর্মীদের মূল হাতিয়ার নাটক-গান-কবিতায় এবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
আজ সোমবার বিকেলে সিলেটের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং সম্মিলিত নাট্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ।
সমাবেশে অনন্ত হীরার গল্প অবলম্বনে অরূপ বাউলের পরিচালনায় ধর্ষণবিরোধী পথনাটক ‘রেফারি’ প্রদর্শন করে নাট্যদল ‘নগরনাট’।
সাংস্কৃতিক সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশ করে গণসংগীতশিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও অন্বেষা শিল্পী গোষ্ঠী।
কবিতায় প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি ও বাচিকশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, থিয়েটার মুরারিচাঁদের হাসান আল-মাসুম, শাবিপ্রবির তালহা তাহসিন এবং নাট্যকর্মী অনুপ সরকার।
প্রতিবাদী এ সাংস্কৃতিক সমাবেশে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সংস্কৃতিকর্মীরা এবং এ ঘটনা জড়িত সবার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, ‘সিলেটসহ সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের জন্য ঘৃণ্যতম অপরাধের বিরুদ্ধে সংস্কৃতিকর্মীসহ দেশের মানুষের কঠিন প্রতিবাদী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এ ঘটনায় ধর্ষণকারীদের মদদদাতা এবং ব্যর্থ কলেজ প্রশাসনের উদাসীনতা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করতে সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে গতকাল মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসের সামনের রাস্তায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা।
Comments