চাঁদাবাজি মামলায় সাভারের বিরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

নিজ নির্বাচনী এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও আদায়ের মামলায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুর রহমান সুজনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Sujon.jpg
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

নিজ নির্বাচনী এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও আদায়ের মামলায় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদুর রহমান সুজনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাত ৯টার দিকে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবো এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, গতকাল বিকালে আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় আশরাফুল উল্লেখ করেছেন, বিরুলিয়ায় তার নিজস্ব জায়গায় পাঁচতলা বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বাড়িটির বাউন্ডারি ওয়াল সম্পন্ন করে তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার চারতলার কাজ শুরু করলে ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় বাড়ির মালিক সুজনকে এক লাখ টাকা দিলেও বাকি টাকার জন্য চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের লোকজন দিয়ে কাজ বন্ধ করে রাখেন তিনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাইদুর রহমান সুজন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুজনের ব্যক্তিগত কোনো আয়ের উৎস নেই। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার পর অর্থ-সম্পত্তিতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তিনি। সুজনের নির্মাণাধীন বিলাসবহুল বাড়ি দেখলেই তার অর্থের বিষয়ে আঁচ করতে পারা যায়।’

যোগাযোগ করা হলে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সুজনকে তাদের কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজির মামলায় সুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন শুনেছি। কেউ সংগঠনের নিয়মবহির্ভূত কাজ করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কয়েক দিন যাবত আমি গ্রামের বাড়ি অবস্থান করায়, বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে কথা বলতে পারব না।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago