ধর্ষণ মামলায় রাজশাহীতে খ্রিস্টান পুরোহিত গ্রেপ্তার

স্কুল শিক্ষার্থীকে তিন দিন গির্জায় অবরুদ্ধ রেখে ধর্ষণ করার দায়ে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের উমোরপুর এলাকার ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ডায়োসিসের এক পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

স্কুল শিক্ষার্থীকে তিন দিন গির্জায় অবরুদ্ধ রেখে ধর্ষণ করার দায়ে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের উমোরপুর এলাকার ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ডায়োসিসের এক পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা।

আজ বুধবার সকালে রাজশাহীর র‌্যাব-৫ এর অতিরিক্ত এসপি এটিএম মইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ৪১ বছর বয়সী পুরোহিত প্রদীপ গ্রেগরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

এর আগে ধর্ষণের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর ভাই রাজশাহীর তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান, তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।

মামলায় পুরোহিতের বিরুদ্ধে তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সেন্ট জন মেরি তিয়ান্নি গির্জায় তিন দিন ধরে আটকে রেখে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।

ওসি বলেন, ‘১৫ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক পরীক্ষা এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য রাজশাহীতে পাঠিয়েছে পুলিশ।’

মামলায় তার ভাই উল্লেখ করেন, গত শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরের দিন তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তারা।

গত সোমবার স্থানীয়রা ওই শিক্ষার্থীকে গির্জার ছাদে দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে জানায়।

চার্চ কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সদস্যদের গির্জায় প্রবেশাধিকার দিতে এবং তাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বলে পুলিশকে জানান ওই শিক্ষার্থীর ভাই।

পরে একটি সালিশের সময় ‘মেয়েটিকে আটকে রাখার জন্য’ পুরোহিতকে দোষী বলে চিহ্নিত করা হয় এবং তাকে চার্চের পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী ক্যাথলিক ডায়োসিসের কর্মকর্তারা।

সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাকে পুরোহিতের পদবি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান রাজশাহীর খ্রিস্টান ধর্মপ্রদেশের বিশপ জার্ভাস রোজারিও।

তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পুরোহিতরা জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুরোহিত প্রদীপ গ্রেগরি ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা অস্বীকার করেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Prisoners, migrants, even the deceased get implicated in cases

9h ago