‘প্রকৃতি আমাকে ডাকছিল’
কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ ১৫ মিনিটের খেলা তখন বাকি। চেলসির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে তারকা কোচ জোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পার। বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ ভোঁ দৌড় দিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন দলটির ডিফেন্ডার এরিক ডায়ার। তার পেছনে পেছনে ড্রেসিং রুমের দিকে ছুট লাগালেন মরিনহোও। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করতে থাকা ক্যামেরাগুলো তখন খেলা দেখানো বাদ দিয়ে ঘুরে গেল পর্তুগিজ কোচের দিকে। এ যেন ব্যাখ্যার অতীত, কী ঘটছে কেউ বুঝে উঠতে পারছে না!
ঘটনা খোলাসা হয় পরে। টয়লেটে গিয়েছিলেন ইংলিশ ফুটবলার ডায়ার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা নিয়ে জোসে মোটেও খুশি হতে পারেনি। কিন্তু আমার কিছুই করার ছিল না। প্রকৃতি আমাকে ডাকছিল।’
‘পরে আমি শুনেছি, যখন আমি মাঠে ছিলাম না, (চেলসি) সুযোগ পেয়েছিল। তবে ভাগ্য ভালো, তারা গোল করতে পারেনি।’
রাগে গজগজ করতে করতে কিছুক্ষণ পরই ডাগআউটে ফিরে আসেন মরিনহো। ডায়ারও দেরি করেননি বেশি। সামান্য সময়ের জন্য দশ জনে পরিণত হওয়া টটেনহ্যাম এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেও নেয় ম্যাচটা। ৮৩তম মিনিটে এরিক লামেলা সমতা টানার পর টাইব্রেকারে চেলসির ম্যাসন মাউন্ট গোল করতে ব্যর্থ হন। পেনাল্টি শুটআউটে স্পার্সের ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে প্রথম স্পট-কিকটি নিয়ে সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেন ডায়ার।
ডায়ারের ‘প্রয়োজন’টা যে মরিনহো বোঝেননি তা নয়। কিন্তু তারপরও কেন তাগাদা দিচ্ছিলেন ফেরার জন্য? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওই আচরণের সমর্থনে তিনি জানান, ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে ডায়ারকে দ্রুত ফেরার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হয় তাকে। তবে শিষ্যের প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করেননি স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’, ‘তাকে (টয়লেটে) যেতে হতোই। আর কোনো উপায় ছিল না।’
‘যখন আপনি হয়তো পানিশূন্যতায় ভুগবেন, তখন এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। আর তাকে দ্রুত (মাঠে) ফেরানোর জন্য চাপ দিতে হয়েছে আমাকে। তবে সকলের জন্যই সে দারুণ একটি উদাহরণ।’
Comments