ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২১ নাগরিকের বিবৃতি

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারী হত্যা ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এসব অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ২১ নাগরিক।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারী হত্যা ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এসব অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ২১ নাগরিক।

শিক্ষাবিদ, লেখক, নাট্যব্যক্তিত্বসহ ২১ নাগরিক গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জাতীয় ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।

বিবৃতিদাতারা হলেন--আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারোয়ার আলী, ফেরদৌসী মজুমদার, আলী যাকের, মামুনুর রশীদ, নির্মলেন্দু গুণ, মফিদুল হক, হাবীবুল্লাহ সিরাজি, মোহাম্মদ নূরুল হুদা, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক শফি আহমদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ, মিনু হক, গোলাম কুদ্দুছ, হাসান আরিফ, তারিক সুজাত ও মাসুম রেজা।

তারা জানান, ‘কোভিড মহামারির এই দুঃসময়ে ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারী হত্যা ও নারী নির্যাতনের উপুর্যপরি ঘটনায় আমরা গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত বোধ করছি।’

সেইসাথে আমরা মনে করি, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা আরো তলিয়ে বিচার করে করতে হবে। অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারী-হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী তাদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত ও নিন্দিত করতে হবে। একইসাথে অপরাধীদের ক্ষমতার উৎস, তাদের প্রশ্রয়দাতা এবং রাজনৈতিক ও আর্থিক যোগাযোগ ও অবস্থান বিচার করে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা গভীর পরিতাপ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করি ধর্ষণের সঙ্গে ছাত্র-যুব সমাজের একাংশ জড়িয়ে পড়ছে এবং রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দকে তারা ব্যবহার করতে সচেষ্ট রয়েছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সক্ষম হচ্ছে। এই প্রবণতা মোকাবিলায় ক্ষমতাবান রাজনৈতিক সংগঠন বা ব্যক্তি তাদের দায় কোনোভাবে এড়াতে পারেন না। 

তারা বলেন, ‘ধর্ষণের এক দুষ্টুচক্র সমাজে সক্রিয় এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এর উৎস পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজে নারীর অধস্তন ও নাজুক অবস্থান এবং বিকৃত মানসিকতায় বেড়ে-ওঠা সমাজের একাংশ। এই প্রবণতা অনেক শিক্ষিত যুবককে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর বিপরীতে সামাজিক জাগরণ ও প্রতিরোধ গুরুত্ববহ। পাশাপাশি জোরদার শিক্ষা ও সংস্কৃতি আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষাবিদ শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীদের। আমরা মনে করি সব মিলিয়ে দৃঢ় ও বৃহত্তর জাতীয় ও সামাজিক প্রতিরোধের এখনই সময়।’

Comments

The Daily Star  | English

‘We were forced to leave UCB, and the PM knew everything’

Former land minister Saifuzzaman Chowdhury Javed compelled UCB board members to resign and former prime minister Sheikh Hasina was aware of this, according to the lender’s new Chairman Sharif Zahir.

14h ago