চিনিকল বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না: শিল্পমন্ত্রী

পঞ্চগড়ে বাফার গুদাম উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, চিনিকল বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না। বরং, চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে বাফার গুদাম উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘চিনিকল বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাই করা হবে না। বরং, চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। নতুন নতুন কৃষি ভিত্তিক কলকারখানা স্থাপন করা হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে।’

মন্ত্রী আজ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আরাজি গাইঘাটায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দশ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সারের বাফার গোডাউন উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ইউরিয়া সার সরবরাহ ও নিরাপদ মজুদ নিশ্চিতকরণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সারাদেশে ১৩টি নতুন সারের বাফার গোডাউন নির্মাণ করছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে একটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা-নিজামীসহ মিলিটারী সরকারগুলো শিল্প-কলকারখানাগুলোতে লুটপাট করে গেছে। চিনিকলগুলোকেও অকেজো করে লোকসানে ফেলেছে। তারা শুধু নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে, জনগণের কোন পরিবর্তন করে নাই। আমাদের সরকার চিনিকলগুলো কৃষিভিত্তিক কারখানায় গড়ে তোলার জন্য আধুনিকীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে। এ ছাড়াও, নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারিতে সারাবিশ্বের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়লেও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেই যুদ্ধে এগিয়ে চলেছি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য কাজ করার সময় ৭৫ এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে তা স্থবির হয়ে পড়ে। সেই স্থবিরতা কাটিয়ে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পর অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধে আমরা অংশ নিয়েছি। এ যুদ্ধেও জয়ী হবার পথে এগিয়ে চলেছি।’

উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ে চার একর জমির ওপর নির্মিত গুদামটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ সংস্থা চলতি বছরের ৩০ আগস্ট ১০ হাজার মেট্রিক টন সার ধারণ ক্ষমতার এই বাফার গুদামটির নির্মাণ কাজ শেষ করে।

উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড পরিদর্শন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Complete polls preparations by December: Yunus

Asks to review if those who served as polling officers in past three elections shall not be assigned the same roles again

2h ago