প্রথমবার ‘মেয়েদের আইপিএলে’ সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশী সালমা
কাগজে-কলমে নামটা উইমেনস টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জ হলেও মেয়েদের আইপিএল হিসেবেই পরিচিত আসরটি। আর সেখানে এর আগে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন পেসার জাহানারা আলম। তৃতীয় আসরে দেশ থেকে তার একজন সঙ্গী বেড়েছে। এবার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমা খাতুনও। আর ডাক পেয়েই দারুণ খুশী অধিনায়ক। এবার নিজের সেরাটা দিয়ে আইপিএল মাতাতে চান তিনি।
মুঠোফোনে ডেইলি স্টারের আলাপ কালে তাই উচ্ছ্বাস গোপন করতে পারেননি বাংলাদেশ নারী দলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক, 'খুব ভালো লাগছে। এর আগে আমাদের এখান থেকে মাত্র একজন ছিল জাহানারা। এবার আমার নামটাও এসেছে, অবশ্যই ভালো লাগছে। আল্লাহ ভরসা দেখা যাক কি করা যায়। সব কিছু যদি ঠিক থাকে ইনশাল্লাহ ভালো হবে।'
এবারের টি-টুয়েন্টি চ্যালেঞ্জে যে ডাক পেতে যাচ্ছেন, তা অবশ্য জানতেন গত বিশ্বকাপ থেকেই। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপেই তাকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরই করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীর স্থবির হয়ে পড়ে। তখন ভেবেছিলেন হয়তো আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সেরা আসরে আর খেলাই হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার পর মেয়েদের এ আসর আয়োজনে প্রস্তুত হচ্ছে বিসিসিআই। আর এমনটা জেনে বেশ উচ্ছ্বসিত সালমা।
'গত পরশু স্যার ফোন দিয়েছে। তবে মেসেজটা ছিল বিশ্বকাপের সময়ই। তখন জেনেছিলাম পরবর্তী আইপিএলে সুযোগ আসতে পারে। কিন্তু এরপর তো খেলাধুলা বন্ধ ছিল। তাই প্রচার ছিল না। ভেবেছিলাম এ বছর হয়তো আইপিএল আর হচ্ছে না। তবে ওরা এখন করছে তাই জানিয়েছে। এ সব কিছু তৌহিদ ভাই (বিসিবির উইমেনস উইং ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ।) দেখাশুনা করছেন।' - আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার সংবাদ প্রসঙ্গে এমনটাই বলেন সালমা।
প্রথমবার হলেও নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে চান সালমা, 'যেহেতু প্রথমবার সুযোগ পেয়েছি অবশ্যই নিজের সেরাটা দিতে চাই। এটাই লক্ষ্য। আর যেখানেই সুযোগ পাই, বোলিং বলেন, ব্যাটিং বলেন, সেখানেই দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। আর দেশের হয়ে যাচ্ছি একটা পারফরম্যান্স তো অবশ্যই করতে চাই। তবে এখন বোলিংটাই আমার প্রথম অগ্রাধিকার। তো বোলিংটা ভালো করার দিকে বেশি নজর থাকবে। আশা করছি ভালো করবো।'
লকডাউনের এ সময়ে ফিটনেস নিয়ে সমস্যা কমবেশি সবারই ছিল। তবে বাসায় নিয়মিত কাজ করায় খুব একটা ঘাটতি দেখা যায়নি সালমার। খুলনা স্টেডিয়ামে নিয়মিত এ নিয়ে কাজ করছেন তিনি, 'আল্লাহর রহমতে ফিটনেস খুব ভালো আছে। লকডাউনের সময়েও আমি বাসায় কাজ করেছি। এরপর মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। খুলনা স্টেডিয়ামে কাজ করছি। নিয়মিত ব্যাটিং বোলিং নিয়ে কাজ হচ্ছে। ফিটনেস নিয়ে তো হচ্ছেই। মোটামুটি সব ঠিক আছে।'
তারপরও কিছুটা ঘাটতি তো থেকেই যায়। কারণ প্রায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ঘরে থেকে বের হওয়ার সুযোগ মিলেনি। সেটা সম্পূর্ণ পূরণ না হলেও কাটিয়ে উঠতে প্রত্যয়ী অধিনায়ক, 'আরও কিছু দিন সময় আছে। চেষ্টা করব সব ঠিক করে নিতে। পুরোপুরি হবে কি-না জানিনা। কারণ পাঁচ মাসের বিরতি কি আর এক দেড় মাসে হয়। তবে আমি অনেকটাই পূরণ করেছি, আশা রাখছি এই কয় দিনে বাকীটা ঠিক হয়ে যাবে।'
এদিকে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে জাহানারা ও সালমা ২১ অক্টোবর ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে বিসিবির ব্যবস্থাপনায় হবে কোভিড-১৯ টেস্ট। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় আগামী ৪ থেকে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তিন দলের এ আসর।
Comments