কক্সবাজার সৈকতে সুগন্ধা পয়েন্টে স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী এলাকায় সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক অবকাঠামো উচ্ছেদে বাধা নেই বলে এক আদেশে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত রুল ও স্থগিতাদেশ বাতিল করেন।
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভূমি মন্ত্রণালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আপিলের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত আজ রায় দেন।
আপিলের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী এলাকায় সুগন্ধা পয়েন্টে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ৫২ জন ব্যক্তি অবকাঠামো নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল সেসব অবকাঠামো উচ্ছেদে নোটিশ দেয়। উচ্ছেদের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে ওই ৫২ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটে তারা বলেন যে কক্সবাজার পৌরসভার বাণিজজ্যিক লাইসেন্সে তাদের কাঠামো নির্মাণের অনুমতি দেওয়া আছে।
তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছর ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট উচ্ছেদ নোটিশের প্রশ্নে একটি রুল জারি করেন এবং নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পরে, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের রুল ও স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
শুনানি চলাকালে মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কক্সবাজার সৈকত থেকে অবকাঠামো উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রায় লঙ্ঘন করে অননুমোদিত কাঠামো নির্মাণ করেছেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি রায়ের পুরো কপি পড়ে বলতে পারবেন যে কাঠামোগুলো উচ্ছেদ করা যেতে পারে কিনা।
Comments