চরফ্যাশনের মেয়রের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গাড়ি আটকে রাখার অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদলকৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ওষুধ বহনকারী একটি পিকা আপ কাভার্ড ভ্যান আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদলকৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ওষুধ বহনকারী একটি পিকা আপ কাভার্ড ভ্যান আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

গত বছর ভোলায় ট্রান্সকমের কর্মীদের ওপর হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করতে মেয়র গাড়িটি আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে মেয়র অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাস্তায় যানজট তৈরি হওয়ায় পৌরসভার সামনে গাড়িটি এনে রাখা হয়েছিল। জানানোর পর পুলিশ এসে গাড়িটি নিয়ে যায়।

গাড়ির চালক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চরফ্যাশন শহরে ডাকাবাংলোর সামনে গাড়িটি রাখা ছিল। ১১টার দিকে মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ তার সিকিউরিটি গার্ডকে পাঠিয়ে গাড়িটি পৌরসভা চত্বরে নিয়ে যেতে বলেন। পরে গাড়ির চাবিও নিয়ে নেওয়া হয়। বিকেলে মেয়র গাড়িটি চরফ্যাশন থানায় পাঠিয়ে দেন। তবে ওসির নির্দেশে গাড়িটি আবার পৌরসভার সামনে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার পর গাড়িটি আবার থানায় নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি মনির হোসেন মিঞা জানান, মেয়র, কেমিস্ট সমিতির নেতাসহ সবাই ঘটনাটি নিয়ে থানায় সমঝোতা বৈঠকে বসেছেন। এখন তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না।

জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর চরফ্যাশনে শরীফপাড়ায় সোসাল ইসলামী ব্যাংকের সামনে রাস্তায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৃদয়, রাজিব, ফয়সাল ও গোবিন্দ হালদার হামলা চালিয়ে ডেলিভারি ম্যান নিক্কন তালুকদার ও তাকে পিটিয়ে জখম করেছিল। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৮৮ হাজার টাকা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, এটিএম কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় ২৭ ডিসেম্বর বরিশাল কোতয়ালী থানায় মামলা করা হয়।

চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদলকৃষ্ণ দেবনাথের দাবি, তিনি ট্রান্সকমের কোনো গাড়ি আটকে রাখেননি। গাড়ির চাবিও নেননি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তারাই ঝামেলা তৈরি করেছিল। রাস্তায় যানজট তৈরি হওয়ায় গাড়িটি পৌরসভার সামনে এনে রাখা হয়। আমাদের লোকজন গাড়িটি পাহারায় রাখে। পুলিশকে বলার পর তারা গাড়িটি নিয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago