মানিকগঞ্জে গৃহবধূ ও স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় এক গৃহবধূ ও সাটুরিয়া উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে স্কুলছাত্রীর এবং গতকাল রাতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূ লাকি আক্তার (২০) ভগবানপুর গ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী। পুলিশের ধারণা, দাম্পত্য কলহের জের ধরে লাকি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। স্কুলছাত্রী প্রীতি আক্তার সাটুরিয়ার আগ-সাভার গ্রামের মো. হুমায়ুনের মেয়ে। সে স্থানীয় আবদুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় আট বছর আগে লাকির মা সফুরা বেগম মারা যাওয়ার পর বাবা রমজান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে লাকিকে ঢাকার ধামরাইয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে লালন-পালন করেন মামা আবদুর রহমান। প্রায় চার বছর আগে তিনি লাকিকে রতন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্বামীর বাড়ির ঘরের ভেতর লাকিকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও রতন মিয়ার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি ১০ দিনের ছুটিতে সেনা সদস্য রতন মিয়া বাড়িতে আসেন। লাকির মরদেহ উদ্ধারের সময় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
অপরদিকে, আজ সকালে আগ-সাভার গ্রামের বাড়িতে প্রীতি আক্তারকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় তার বাবা-মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দুপুরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
Comments