কার্যকর ভ্যাকসিন নির্বাচনে বাংলাদেশসহ ৬ দেশের গ্লোবাল ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্কের উদ্যোগ

ছবি: রয়টার্স

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি গবেষণা চলছে। সম্ভাব্য সবগুলো ভ্যাকসিন ‘একটির সঙ্গে আরেকটির’ তুলনা করে ‘সবচেয়ে কার্যকর ভ্যাকসিনটি’ নির্বাচন করতে একটি গ্লোবাল ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অলাভজনক স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই)।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও ভারতের ছয়টি ল্যাবের সঙ্গে কাজ করবে সিইপিআই।

ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত সিইপিআই নেটওয়ার্কে থাকা ল্যাবগুলোতে পরীক্ষা করা ভ্যাকসিনের নমুনা বিশ্লেষণকে এক জায়গায় নিয়ে এসে তুলনা করা হবে।

সিইপিআই’র ভ্যাকসিন আর অ্যান্ড ডি বিভাগের ডিরেক্টর মেলানিয়া সাভিল রয়টার্সকে বলেন, ‘একটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে অন্যটির তুলনা করে দেখার চিন্তা থেকেই এই ধারণাটি এসেছে। ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল যাতে না আসে, সেই ঝুঁকি কমাতে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর প্রাথমিক ট্রায়ালের নমুনা এক জায়গায় আনা হবে। ফলে, সব ট্রায়াল একই ছাদের নিচে পর্যালোচনা করা যাবে।’

সাবিল আরও বলেন, ‘যখন কোনো নতুন রোগের ভ্যাকসিন তৈরি শুরু হয়, তখন একেকটি সংস্থা নিজেদের মতো করে তা তৈরির চেষ্টায় থাকে। তারা আলাদা-আলাদা প্রটোকলে কাজ করে। তাদের মধ্যে সহযোগিতা থাকলে, কেন্দ্রীয় ল্যাব থাকলে আমরা সহজে ভ্যাকসিনগুলো মূল্যায়ন করতে পারব। বুঝতে পারব কোনটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর।’

সাধারণত, সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কয়েকটি ল্যাবে বিশ্লেষণ করে যাচাই করা হয়।

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি গবেষণা ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। এই সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের ডেটা সংগ্রহ ও মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্যও অনেক। নমুনাগুলো কীভাবে, কোথায় সংগ্রহ করা হচ্ছে, বহন করা হচ্ছে, সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেখানেও পার্থক্য আছে। এসব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও প্রভাবকে জটিল করে তুলতে পারে।

সাভিল বলেন, ‘কয়েকশ করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি আমাদের কাছে এমন একটি ব্যবস্থা থাকা জরুরি, যাতে করে বর্তমানে ট্রায়ালে থাকা সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতার মূল্যায়ন ও তুলনা করা যায়।’

বিশ্বের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মার্কিন সংস্থা মডার্না, জার্মানির বায়োটেক ও মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ফাইজারের যৌথ গবেষণা, চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকাল, সিনাভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্ম প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

4h ago