আগুনে পুড়ে গেল বিদ্যালয় ভবন

ফেনীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বিদ্যালয়ের একটি ভবন। আজ শুক্রবার ফেনী সদর উপজেলার বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বিদ্যালয়ের একটি ভবন। আজ শুক্রবার ফেনী সদর উপজেলার বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার, টেবিল ও বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

দমকল বাহিনী ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি আধাপাকা ভবনে স্থানীয় লোকজন আগুন জ্বলতে দেখেন। শুক্রবার হওয়ার কারণে তখন বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীও ছিল না।

স্থানীয়রা নিজেদের চেষ্টায় আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন। পরে ফেনী ফায়ার সার্ভিসকেও বিদ্যালয় ভবনে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও দ্রুত ওই স্থানে পৌঁছায়। ততক্ষণে, বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবনটিতে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা দ্রত এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থ বিদ্যালয়ের এ আধাপাকা ভবনটিতে তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও বিজ্ঞানাগার ছিল। এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার, টেবিল, আলমারি ও বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আরও একটি পাকা ভবন থাকলেও ওই ভবনে সব শ্রেণির পাঠদান সম্ভব হবে না। নতুন করে ভবন নির্মাণ করা না হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদান করা যাবে না।’

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শিল্পপতি শাহেদ রেজা জানান, ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকট ও পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে দেখে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই আধাপাকা ভবনটি নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার রাশেদ বিন খালেদ বলেন, ‘বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago